নিমতিতা কাণ্ডে স্টেশনে হকার যোগ, ধরা পড়ল একজন
স্টেশনে হকারি করত, সেখান থেকেই অন্য যোগ। আর তারপরেই বিস্ফোরণ। নিমতিতা কাণ্ডে এমনই তথ্য দিল সিআইডি। ধরা পড়া ব্যক্তি নিমতিতা স্টেশনে হকারি করতেন। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে তাঁকে। তদন্তের জন্যেই পরিচয় বাইরে আনেননি সিআইডির আধিকারিকরা।
প্রসঙ্গত, এ মাসে নিমতিতা স্টেশনে বোমা ফেটে শ্রম প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন গুরুতরভাবে জখম হন। সেদিন রাতে কলকাতা ফেরার ট্রেন ধরতে যাচ্ছিলেন নিমতিতা স্টেশনে। স্টেশনে ঢোকার মুখে বোমা বিস্ফোরণে হাত-পা হারিয়ে ফেলেন তাঁর সঙ্গে থাকা একাধিক ব্যক্তি। এই ঘটনায় ক্রমেই জোরাল হতে থাকে আইইডির তত্ত্ব। এর সঙ্গে এই ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যেই জোর তরজায় রেল-রাজ্য।
রাজ্যের তরফ থেকে স্টেশনের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কেন স্টেশনে আলো নেই এটাও প্রশ্ন করা হয়েছে।তবে রেল ইতিমধ্যেই তদন্তকারীদের জানিয়েছে, স্টেশনে অন্ধকার ছিল না। ২ নম্বর প্ল্যাটফর্মের বিস্ফোরণের জেরে আলো নেভে। সিসিটিভি এবং আরপিএফ-এর নজরদারিও ছিল সেখানে।
সেদিন ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয় লোহার কনটেনারের টুকরো, ক্যাপাসিটার, বাইকের ব্যাটারির অংশ। এগুলি সাধারণত আইইডি বিস্ফোরণেই ব্যবহার করা হয় বলে সিআইডি সূত্রে খবর। এখানেই প্রশ্ন উঠেছে রেলের ভূমিকা নিয়েও। স্টেশন থেকে বিস্ফোরকের যে ব্যাগটি উদ্ধার হয়েছে সেটা আরপিএফের নজর এড়িয়ে গেল কীভাবে সে নিয়ে যেমন প্রশ্ন উঠেছে। তার সঙ্গে কেন ওই স্টেশনে কোনও সিসি ক্যামেরা বা পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা নেই তদন্তকারীর দল খতিয়ে দেখছে বিষয়টা।