সমূহ বিপদ! আগস্টেই আছড়ে পড়ছে তৃতীয় ঢেউ
তৃতীয়পক্ষ ওয়েব- লকডাউনের কড়াকড়ি উঠতেই ফের চোখ রাঙানি করোনার। আশঙ্কা খুব শীঘ্রই তৃতীয় ঢেউয়ের সম্মুখীন হতে চলেছে সাধারণ মানুষ। স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করেই সাধারণ মানুষ এখন অসচেতন। আর তার ফল হতে চলেছে মারাত্মক। গবেষক-বিজ্ঞানীদের ইঙ্গিত কিন্তু সেদিকেই।
কোভিড সিচুয়েশন যে এত তাড়াতাড়ি যাওয়ার নয় সেটা বুঝে গিয়েছিল সকলেই। করোনার দ্বিতীয় ওয়েভ শেষ হতে না হতেই জল্পনা শুরু হয়েছিল তৃতীয় ঢেউয়ের। দেশের অধিকাংশ রাজ্য থেকে লকডাউন উঠতে না উঠতেই মানুষের ঢল দেখে গবেষকরা সতর্ক করে বলেছিলেন, সেপ্টেম্বর নয়, আগস্টের শেষেই আছড়ে পড়তে পারে করোনার তৃতীয় ঢেউ। তবে স্বস্তি যে, করোনাভাইরাসের নতুন কোনও অভিযোজন না হলে দ্বিতীয় ঢেউয়ের মতো ভয়াবহ আকার ধারণ করবে না তৃতীয় ঢেউ। দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় যেখানে দৈনিক ৪ লক্ষেরও বেশি মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন, সেখানেই তৃতীয় ঢেউয়ে দৈনিক সর্বোচ্চ এক থেকে দেড় লক্ষ মানুষ করোনা আক্রান্ত হতে পারেন।
হায়দ্রাবাদ ও কানপুরের ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজির গবেষক মাথুকুমালি বিদ্যাসাগর ও মনীন্দ্র আগরওয়ালের প্রকাশিত এক গবেষণাপত্রে প্রকাশিত, আগস্টেই শুরু হতে পারে তৃতীয় ঢেউ, অক্টোবর মাসে যা সংক্রমণের শীর্ষে পৌঁছতে পারে। কেরল এবং মহারাষ্ট্রে রেকর্ড ভাঙা সংক্রমণ হতে পারে।
পূর্ব মেদিনীপুরে ডেল্টার খোঁজ! কোভিডের নয়া রূপে আক্রান্ত একাধিক
কয়েক সপ্তাহ ধরেই দেশের দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৪০ হাজারের গণ্ডিতেই সীমাবদ্ধ রয়েছে। খবর অনুযায়ী কেরল থেকেই দেশের দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৫০ শতাংশের খোঁজ মিলেছে। উত্তর পূর্ব ভারতের বেশ কয়েকটি রাজ্যেও সংক্রমণ বর্তমানে উর্ধ্বমুখী। যার ফলে তৃতীয় ঢেউয়ের হটস্পট হয়ে উঠতে পারে কেরল।
গোটা দেশে ৭.৬ শতাংশ জনগণই এখনও অবধি টিকার দুটি ডোজ় পাওয়ায় হার্ড ইমিউনিটি তৈরি হয়েছে কিনা, সেটাও দাবী করা যাচ্ছে না। আর কেরলের মতো বড় রাজ্যে যদি একনাগাড়ে সংক্রমণ বৃদ্ধি পায়, তাহলে গোটা দেশেই তা ছড়িয়ে পড়বে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও টিকাকরণের পাশাপাশি আসন্ন তৃতীয় ঢেউয়ের জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন সব রাজ্যকে।