বর্ষায় গরমাগরম খিচুড়ি
পিনাকী চৌধুরী।। বর্ষার সঙ্গে খিচুড়ির সম্পর্কটা আজও সম্পৃক্ত ! আর ভোজনরসিক বাঙালির পাতে যখন খিচুড়ি আর ইলিশ মাছ ভাজা থাকে, তাহলে তো কথাই নেই ! অনেকেই এই খিচুড়ি রান্নাকে চালে ডালে আখ্যা দিয়ে থাকেন । কিন্তু কেন ? বলা হয়ে থাকে , আগেকার দিনে বর্ষাকালে রান্নাঘরে মাটির উনুন স্যাঁতসেঁতে বা সামান্য ভিজে অবস্থায় থাকতো। সম্ভবত সেই কারণেই সময় বাঁচাতে তখন বাড়ির গৃহবধূরা একসঙ্গে চাল ও ডাল ফুটিয়ে নিতেন। তবে এই খিচুড়ির পুষ্টিগুণ অনেক। রোগীর পথ্য না হলেও তুলনায় সহজপাচ্য খাবার হিসেবে আজও খিচুড়ির অবদান অনস্বীকার্য।
এই সুখাদ্যে রয়েছে পরিমাণ মত প্রোটিন, ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস , যা কিনা আমাদের স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারী। তবে খিচুড়িতে বেশি মশলা দেওয়া উচিত নয় , খাদ্যগুণ কমে যেতে পারে। আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে বলা হয়েছে যে, খিচুড়ি মানব শরীরকে শীতল রাখে এবং বায়ু, পিত্ত ও কফকে নিয়ন্ত্রণ করে। শুধু কি তাই ? এই উপাদেয় খিচুড়ি কিন্তু আমাদের শরীরের টক্সিন দূর করে দেয় । তাই আজও আকাশে কালো মেঘের ঘনঘটা দেখলে এবং কখনও ঝেঁপে তো আবার কখনও মেপে বৃষ্টি হলে বাঙালির ঘরে ঘরে খিচুড়ি রান্না করা হয়, যা কিনা আবালবৃদ্ধবনিতার পছন্দের তালিকায় এক নম্বরে ।