ভ্যাকসিন নিয়েছেন ১২৫ বছর বয়সী স্বামী শিবানন্দ
পিনাকী চৌধুরী।। কঠোর আত্মসংযম এবং নিয়মের বেড়াজালে আবদ্ধ বারাণসীর ১২৫ বছরের ‘ যুবক ‘ স্বামী শিবানন্দের যাপিত জীবন। স্বামী শিবানন্দ বারাণসীর ভেলুপুর এলাকার কবীর কলোনীর বাসিন্দা। সেই সঙ্গে রয়েছে নিজের মনকে অনুশাসন করবার প্রয়াস। নিয়মের ব্যতিক্রম হয় না, প্রতিদিন কাকভোরে উঠে গঙ্গাস্নান করেন স্বামী শিবানন্দ , তারপরেই শুরু হয় শারীরচর্চা , যোগব্যায়াম করে তিনি মানসিক প্রশান্তি লাভ করেন। বস্তুতঃ খুবই সাধারণ মানের খাওয়া দাওয়া করেন তিনি, কারণ – স্বামী শিবানন্দের শৈশবের দিনগুলোতে চরম দারিদ্রের হাতছানি ছিল।
এখনও তিনি স্বল্প আহার করেন এবং তাও তেল মশলা ছাড়া নিরামিষ আহার! সেই স্বামী শিবানন্দ সম্প্রতি করোনা প্রতিষেধক নিলেন, তাও আবার একাই বারাণসীর স্থানীয় ভ্যাকসিন সেন্টারে গিয়ে এবং কারোর কোনো রকম সাহায্য ব্যাতিরেকে। জমা দিলেন তাঁর আধার কার্ড ! আর সেই আধার কার্ডে স্বামী শিবানন্দের জন্মতারিখ লেখা রয়েছে ৮ আগষ্ট , ১৮৯৬। আর তাই দেখেই স্বাস্থ্যকর্মীদের চক্ষু চড়কগাছ ! তাঁদের মনে তখন সংশয় !
স্বামী শিবানন্দকে কি আদৌও ভ্যাকসিন দেওয়া যাবে ? আদৌও কি ভ্যাকসিন তাঁর শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সক্ষম হবে ? কিন্তু স্বামী শিবানন্দ নিজ সিদ্ধান্তে অটল ! হ্যাঁ, ১২৫ বছর বয়সেও তিনি করোনা প্রতিষেধক নিলেন এবং সমাজকে পথ দেখালেন ! বস্তুতঃ স্বামী শিবানন্দের দীর্ঘ জীবনের রহস্য লুকিয়ে রয়েছে তাঁর আধ্যাত্মিকতায় সমৃদ্ধ যাপিত জীবন এবং কঠোর আত্মসংযম ও নিয়মিত যোগব্যায়ামের চর্চায় ! হ্যাঁ , তিনি এখনও কর্মঠ ! পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে থাকলেও নিজের সব কাজ তিনি একাই সম্পন্ন করেন । স্বামী শিবানন্দ আশাবাদী যে, করোনা প্রতিষেধকের দ্বিতীয় ডোজটিও তিনি নির্দিষ্ট দিনে এবং নির্দিষ্ট সময়ে ভ্যাকসিন সেন্টারে উপস্থিত হয়ে নেবেন ।