‘বন্ধুত্ব’, সংসদে আগ্রাসী তৃণমূলের পাশে দাঁড়াল কংগ্রেস!

তৃতীয়পক্ষ ওয়েব- বেশ কিছুদিন ধরেই পেগাসাস ইস্যু নিয়ে উত্তাল রাজনীতি। রাজ্যসভার ছয় সাংসদকে সাসপেন্ড করায় দিল্লির রাজনীতিতেও প্রবাহিত হচ্ছে উষ্ণতা। একদিকে যেমন অনড় মনোভাব দেখাচ্ছেন তৃণমূল সাংসদরা, অন্যদিকে পেগাসাস ইস্যুতে সংসদের দুই কক্ষে আলোচনার চেয়ে আরও সুর চড়ানোর কথা জানিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন। তবে এবার তৃণমূল কংগ্রেসের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে অন্য বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। তৃণমূলের পাশে দাঁড়িয়েছে কংগ্রেস, ডিএমকে, সমাজবাদী পার্টি সহ আরও অনেকে।

তবে অন্যদিকে এবার সংসদের বাইরেও তৃণমূলের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিল কংগ্রেস। বৃহস্পতিবার সকালে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কংগ্রেসের রাজ্যসভার দলনেতা মল্লিকার্জুন কালকে বললেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেসের ৬ সাংসদকে সাসপেন্ডের ঘটনা ঠিক হয়নি। ভয় দেখিয়ে কোন কাজ হাসিল করা যায় না। আমরা বিরোধীরা শেষ পর্যন্ত লড়বো’।

এই বিরোধী ঐক্যকে মোটেও গুরুত্ব দিতে নারাজ বিজেপি। প্রবীণ বিজেপি নেতা তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেছেন, “সাংসদদের সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের এক্তিয়ারভুক্ত। তবে সংসদে এরকম গন্ডগোল করা সংসদ তথা সংবিধানের অপমান।”

উল্লেখ্য, বুধবার রাজ্যসভার ওয়েলে নেমে প্ল্যাকার্ড হাতে হৈচৈ করার জন্য চেয়ারম্যান ভেঙ্কাইয়া নাইডু তৃণমূল কংগ্রেসের ছ’জন সাংসদকে দিনের মতো সাসপেন্ড করেন। দোলা সেন, অর্পিতা ঘোষ, শান্তা ছেত্রী, আবিররঞ্জন বিশ্বাস, নাদিমুল হক এবং মৌসম বেনজির নূর’রা ছিলেন সেই তালিকায়। তবে এর আগে সংসদ কক্ষে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কোশ্চেন এর হাত থেকে বিবৃতির কপি ছিনিয়ে নিয়ে তা ছিড়ে পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় পুরো বাদল অধিবেশন থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের অপর এক সাংসদ শান্তনু সেনকে। শান্তনু সেনের ঘটনার রেশ না মিটতেই আবারও দলের ছয় সাংসদের বিরুদ্ধে রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের এই কড়া পদক্ষেপ একদিকে যেমন শাসকদল বিজেপিকে উজ্জীবিত করেছে তেমনি উল্টোদিকে বিরোধী পক্ষে থাকা দলগুলিকে জোট বদ্ধ হতে সাহায্য করেছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহল। এদিকে পেগাসাস ইস্যুতে বিরোধীদের হইহট্টগোলের জেরে লোকসভাতেও অধিবেশন বারবার মুলতুবি হয়।

 

শেয়ার করতে:

You cannot copy content of this page