পশ্চিমবঙ্গের নতুন জেলা সাত
তৃতীয়পক্ষ ওয়েব- নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, বাঁকুড়া, উত্তর ২৪ পরগনা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলাকে ভাগ করে হচ্ছে নতুন জেলা রানাঘাট, বসিরহাট, বহরমপুর-কান্দি, জঙ্গিপুর, সুন্দরবন, ইছামতী ও বিষ্ণুপুর।
প্রশাসনিক সুবিধার জন্য এর আগেও জেলা ভাগ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই লক্ষ্যে আরও সাত পা এগিয়ে গেলেন তিনি।
উত্তর ২৪ পরগনা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী সুন্দরবন ও সন্দেশখালিকে আলাদা করার কথা বলেছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, সুন্দরবনের মানুষকে যদি আলিপুরে গিয়ে কাজ করতে হয়, সন্দেশখালির প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে মানুষকে বারাসত যেতে হয় তাহলে এই যাতায়াতেই তো তাঁদের দু’দিন চলে যাবে। তারা কাজ করবে কখন?
আর তাই সুন্দরবনের নাম সুন্দরবন হয়েছিল। তবে উত্তর ২৪ পরগনা ভেঙে যে নতুন জেলা তৈরি হচ্ছে তার নাম রাখা হয়েছে ইছামতী।
এর আগেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনেক জেলাকে ভাগ করেছিলেন। বর্ধমান ভাগ হয়ে তৈরি হয়েছিল পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান। দার্জিলিং ভাগ হয়ে কালিম্পং, পশ্চিম মেদিনীপুর ভেঙে ঝাড়গ্রাম এবং জলপাইগুড়ি ভেঙে আলিপুরদুয়ার। তবে এভাবে একসঙ্গে সাতটি জেলা বাড়িয়ে দেওয়া নজিরবিহীন বলেই অনেকের বক্তব্য।
এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে একটি ট্যুইট করেছেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি এই সিদ্ধান্তকে জনগণের চোখে ধুলো দেওয়ার প্রচেষ্টা বলেই ব্যাখ্যা করেছেন।
মুর্শিদাবাদের কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, “মুর্শিদাবাদ জেলা ভাঙতে পারেন, কিন্তু মুর্শিদাবাদ জেলার নামটা, তার অস্তিত্বকে কেউ মুছে দিতে পারেন না। এটা মুর্শিদাবাদ তথা বাংলার মানুষ কোনওদিন মেনে নেবে না, এর বিরুদ্ধে আমাদের আন্দোলন চলবে, যতদূর যেতে হয় আমরা যাব।”
নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জ ব্লকের ঐতিহাসিক শিবক্ষেত্র শিবনিবাসেও। এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শিবলিঙ্গ শিবনিবাস মন্দিরের সামনে হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এলাকার প্রবীণ ব্যক্তি থেকে শুরু গৃহবধূ, বয়স্ক মহিলারাও জেলা ভাগের বিরুদ্ধে সরব হয়েছ। একেবারে শিবনিবাস মন্দিরের সামনে হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে জেলা ভাগের প্রতিবাদে গর্জে উঠেছেন। তাঁদের সকলের একটাই দাবি, “জেলা ভাগ হতে দেব না। জেলা ভাগ হয়ে গেলে ঐতিহ্য নষ্ট হয়ে যাবে।”