বয়কট সংস্কৃতি সোশ্যাল মিডিয়ার ফসল, সাউথে এসব নেই
তৃতীয়পক্ষ ওয়েব- বেশ কয়েক মাস থেকে ‘বয়কট’ শব্দটির সঙ্গে সকলেই পরিচিত হয়ে উঠেছেন। প্রায় অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে বলিউড। প্রথম সারির অভিনেতা, অভিনেত্রীরা বাদ যাননি নেটিজেনদের রোষ থেকে। রীতিমত পুরনো সাক্ষাৎকার থেকে লাইন কোট করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। আর এই সংস্কৃতির বলি হয়েছেন আমির খান, অক্ষয় কুমার, তাপসী পন্নুর মতো বলিউড অভিনেতা অভিনেত্রীরা।
অন্যদিকে দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রিতে ঠিক উলটো ছবি। বড়, ছোট বাজেটের প্রায় সব ছবিই সেখানে হিট, সুপারহিট নাহলে ব্লকবাস্টার হিট। দক্ষিনে অভিনেতা অভিনেত্রীদের প্রায় ঈশ্বর জ্ঞানে পুজো করেন দর্শকরা। বয়কট কি বস্তু তা জানেন না।
সম্প্রতি এমনটাই মন্তব্য করলেন দুলকার সলমন। মালয়ালম ইন্ডাস্ট্রির সুপারস্টার, যিনি বলিউডি ছবিতেও অভিনয় করেছেন। সাম্প্রতিক মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি ‘সীতা রমন’ এর সাফল্যের পর কার্যত আকাশে উড়ছেন অভিনেতা।
দুই ইন্ডাস্ট্রির মধ্যে আকাশ পাতাল তফাৎ। একের পর এক ছবি যখন বয়কট করা হচ্ছে বলিউডে তখন দক্ষিণের ভাণ্ডার ফুলেফেঁপে উঠছে পরপর ব্লকবাস্টারে। বলিউডের দোষটা কী যে এ ভাবে বয়কটের মুখে পড়তে হয়েছে? দুলকার যা বললেন, সবটাই হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ার জন্য। নেটদুনিয়ার জন্য বয়কট সংষ্কৃতির এত বাড়বাড়ন্ত। মানুষ সোশ্যাল মিডিয়ায় যা খুশি তাই লিখতে পারি। আর তাই হচ্ছে। দায়িত্বজ্ঞানহীন ভাবে স্বার্থ চরিতার্থ করতে মানুষ যা খুশি লিখছে। দক্ষিণে বয়কট সংষ্কৃতি বলে কিছুই নেই।
মূলত ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত, ভারতীয় সংস্কৃতির উপর আঘাত এমন সব মন্তব্য নিয়ে বয়কট করছে একাংশ। প্রমাণ হিসাবে অভিনেতা অভিনেত্রীদের পুরনো মন্তব্য তুলে ধরেছেন নেটিজেনরা।
এর পাশাপাশি অভিযোগ উঠছে, দর্শকদের পাত্তাই দেন না বলিউড তারকারা। কিছুদিন আগে করিনা কাপুর খান, আলিয়া ভাটের মন্তব্য প্রমাণ হিসাবে তুলে ধরে সিনেমা বয়কটের ডাক দিয়েছিল অধিকাংশ সোশ্যাল মিডিয়াবাসী। যেখানে লাল সিং চাড্ডা বয়কট করতে সফল হলেও ব্রহ্মাস্ত্র সাফল্যের মুখ দেখেছে।