কুমড়ো বলে হেলাফেলা করবেন না! চুলের যত্নে এর কাজ কিন্তু অনেক

তৃতীয়পক্ষ রূপকথা- কুমড়ো দেখলে অনেকেই নাক সিটকোন। আবার কুমড়োর ছক্কা ছাড়া কিছু খান না। তবে যতই একে হেলাফেলা করুন না কেন, চুলের যত্নে বিশেষ করে চুল পড়া কমাতে কুমড়ো এবং কুমড়ো বীজের তেল যে অব্যর্থ দাওয়াই সেটা কি জানতেন এত দিন? মনে হয় না। এই সবজি এবং এর বীজের তেল কতটা উপকার দিতে পারে আপনার চুলে জেনে নিন-

কুমড়োয় কী কী পুষ্টিগুণ রয়েছে
আপনার স্বাস্থ্য, ত্বক এবং চুল ঠিকঠাক রাখতে যা-যা প্রয়োজন এর সবটাই আছে কুমড়োয়। এতে আছে ভিটামিন এ,ভিটামিন সি,ভিটামিন ই,পটাশিয়াম,কপার,ম্যাঙ্গানিজ,আয়রন,ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস।

পামকিন তেলে আছে ফ্যাটি অ্যাসিডের সমৃদ্ধি, যা চুলের পক্ষে খুব ভালো। এছাড়াও এতে আছে ভিটামিন, প্রোটিন, ডায়াটারি ফাইবার ও মিনারেলস। এই তেলে যে ফ্যাটি অ্যাসিড ও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট আছে সেটা চুলের বৃদ্ধি ঘটায়, চুল পড়া বন্ধ করে এবং স্ক্যাল্পে মৃত কোষ ঝরিয়ে নতুন কোষের জন্ম দেয়।

এর মধ্যে আছে জিঙ্ক। যা স্ক্যাল্পের চুলকানি, জ্বালা ও নানা রকমের সংক্রমণ রোধ করে। এই তেল মাথায় মাখলে সেটি স্ক্যাল্পে ডিএইচটি হরমোনের নিঃসরণ বাড়িয়ে দেয়। এই হরমোন হেয়ার ফলিকলের অতিরিক্ত প্রোটিন শোষণ বন্ধ করে চুল পড়া প্রতিরোধ করে। শুষ্ক ও ক্ষতিগ্রস্ত চুলের জন্য এই তেল খুব কার্যকরী।

এই তেলে যে ভিটামিন এ, বায়োটিন, ওমেগা থ্রি, সিক্স ও নাইন ফ্যাটি অ্যাসিড ও সালফার আছে সেগুলি চুলে সিবাম উৎপাদন বাড়িয়ে দিয়ে চুলে শাইন নিয়ে আসে। হেয়ার ফলিকল বৃদ্ধি করে চুলের গ্রোথ ঘটায় ও খুসকি রোধ করে।

কিভাবে বানাবেন অ্যান্টি হেয়ারফল মাস্ক
চুলের দৈর্ঘ্য অনুযায়ী পাকা কুমড়ো কেটে সেদ্ধ করে চটকে নিন। ব্লেন্ডারেও দিতে পারেন। তার মধ্যে এক টেবিল চামচ জোজোবা তেল দিন। এবার তিন থেকে চার টেবিল চামচ নারকেল তেল মেশান। নারকেল তেল ততটাই দেবেন যাতে এই মাস্ক বেশি পাতলা না হয়ে যায়। শুকনো চুলে এই প্যাক বা মাস্ক লাগিয়ে হেয়ার ক্যাপ পরে নিন। আধ ঘণ্টা রেখে ধুয়ে ফেলুন।

বাড়িতে কিভাবে তৈরি করবেন পামকিন সিড অয়েল কন্ডিশনার
এক টেবিল চামচ কুমড়ো বীজের তেল নিন। তাতে আধখানা আপেল সেদ্ধ করে চটকে মিশিয়ে দিন। এর মধ্যে এক টেবিল চামচ শিয়া বাটার মিশিয়ে দিন। সব শেষে একটা ডিম দিন। চুলে শ্যাম্পু করার পর এই কন্ডিশনার লাগিয়ে ২০ মিনিট রেখে ভালো করে ধুয়ে নিন।

শেয়ার করতে:

You cannot copy content of this page