দমদমে দুই বালিকার মৃত্যুতে সাংসদের মন্তব্যে ফের বিতর্ক
তৃতীয়পক্ষ জেলার খবর- বৃষ্টির জল আর বন্যায় কার্যত শহর কলকাতা নাজেহাল। সব থেকে বোধহয় এবার দমদমের বাসিন্দারাই ঝামেলা পোহাচ্ছেন। এখনও ঘরের মেঝে জুড়ে জল। তার পর ফের বিতর্কে জড়ালেন সাংসদ সৌগত রায়। দুই ছাত্রীর অকাল মৃত্যুতে শোকের ছায়া এলাকা জুড়ে। সেখানে সৌগত রায় মন্তব্য করলেন, কেন বৃষ্টির দিনে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল ছাত্রীরা’।
মূলত দমদমের বান্ধবনগরে শ্রেয়া বণিক ও অনুষ্কা নন্দী নামে দুই ছাত্রীর টিউশনে পড়তে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা। খাটের উপর এখনও ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে বই, টেডি বিয়ার, পুজোর জন্যে কেনা নতুন জামা কাপড়। ঠিক করেছিল পুজোয় ঐ জামাটাই পড়বে সে। কিন্তু সবকিছুই রইল পড়ে।
সৌগত রায় তাঁর লোকসভা কেন্দ্রে দুই ছাত্রীর অকাল মৃত্যুতে দুঃখপ্রকাশ করে সৌগত রায় বলেন, ‘মেয়েগুলোর তো বেরনোর কথা ছিল না! ওরা বেরল। তার পর লাইটপোস্ট চেপে ধরল। তার পর মারা গেল। এর চেয়ে দুর্ভাগ্যজনক আর কী হতে পারে!’ এরপর তিনি যোগ করেন, ‘কিন্তু এই দায় কার? এইসময় লাইটপোস্ট ধরা উচিত নয়, কিছু পড়ে থাকলেও ধরা উচিত নয়। যে বাচ্চা দুটো মারা গিয়েছে সেটা প্যাথেটিক। কিন্তু এখন দায় কার বলে লাভ নেই’।
তাঁর এই মন্তব্যেই তীব্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন সদ্য সন্তান হারা মা। তিনি জানালেন, ‘উনি কি সব জেনে বসে রয়েছেন? উনি দেখেছিলেন? জ্যোতিষী না তান্ত্রিক সাংসদ? তান্ত্রিক হলে আমার মেয়েকে এনে দিন।’
এলাকার কাউন্সিলর মৃত ছাত্রীর বাড়িতে দেখা করতে গিয়ে স্থানীয়মানুষদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন। এছাড়া বান্ধবনগরে জল জমা নিয়ে এলাকার কাউন্সিলরের মন্তব্য, ‘জল তো কোনও ওয়ার্ডের নয়। জল কি কোনও ওয়ার্ডে ভাগ করা হয়েছে? আমাদের নিকাশি বাগজোলা খাল নির্ভর। কিন্তু খাল জলে টইটম্বুর। আমার উপর কেন এর দায় বর্তাবে? আমিও তো এখানে মারা যেতে পারতাম!’
এর মধ্যেও শ্রেয়া বণিকের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে ২ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন সাংসদ।তিনি জানান, মন্ত্রী ব্রাত্য বসুও দেখা করতে আসছেন তাদের সঙ্গে।