হড়পা বানঃ অভিশপ্ত সন্ধ্যায় ঘাটে ছিলেন হাজার খানেক মানুষ
তৃতীয়পক্ষ ওয়েব- বিসর্জনেই বিষাদের সুর। জলপাইগুড়িতে বিসর্জনের সময়ই ঘটল দুর্ঘটনা। মাল নদীতে হড়পা বান। সন্ধ্যায় ঘাটে ছিলেন হাজার খানেক মানুষ। আর সিভিল ডিফেন্সের কর্মী ছিলেন ৮ জন। তাঁদের দাবি, উদ্ধারকার্যের জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীই ছিল না। শুধুই দড়ি ছিল সঙ্গে। যা দিয়ে বড় কোনও বিপদে অভিযান চালানো অসম্ভব। দায়িত্বে থাকা এনডিআরএফ-এর আধিকারিকের বিরুদ্ধেও উঠছে বিস্ফোরক অভিযোগ।
এনডিআরএফ কর্তা পল্লববিকাশ মজুমদার ওই ঘাটের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক। নিজের মুখেই স্বীকার করলেন, বুধবার সন্ধ্যায় ওই ঘাটের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। কিন্তু সন্ধ্যার পর তিনি আত্মীয়ের বাড়িতে চলে যান। উদ্ধারকার্যের সমস্ত জিনিস সামনেই অফিসে রাখা ছিল। দুর্ঘটনার পর অফিস থেকে সার্চ লাইট নিয়ে আসা হয়েছে।
সিভিল ডিফেন্সের কর্মীদের বক্তব্য, হাতে দড়ি ছাড়া বিপর্যয় মোকাবিলার কোনও সরঞ্জামই ছিল না। কর্মীদের বক্তব্য, তাঁদের কাছে উদ্ধারকার্যের জন্য প্রাথমিক পর্যায়ে ছিল কেবল দড়ি। কোনও সার্চ লাইটও ছিল না। বিষয়টি অবশ্য স্বীকার করে নিয়েছেন ওই ঘাটের কর্তব্যরত এনডিআরএফ কর্তাও। তাঁর নিরুত্তাপ ব্যাখ্যা, ‘উদ্ধারকাজ সময়েই শুরু হয়েছে। আমাদের কাছেই অফিস। সেখান থেকে সার্চ লাইট নিয়ে আসা হয়েছিল’। দুর্ঘটনার সময়ে তিনি যে ঘাটে ছিলেন না, সেটিও নিজ মুখে স্বীকার করেছেন।
প্রসঙ্গত, প্রবল জলের স্রোতে বেশ কয়েক জন তলিয়ে গেছে বলে আশঙ্কা করা হয়েছে। যদিও প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনও কিছু জানানো হয়নি। তবে স্থানীয়দের মতে কমপক্ষে ৯ জনের জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে ১০ বছরের এক বালিকা রয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, ৭০টি প্রতিমা বিসর্জনের জন্য আনা হয়েছিল। তার মধ্যে ২৫ থেকে ৩০টি প্রতিমা বিসর্জনের পরই ঘটে বিপর্যয়। স্থানীয় সূত্রে দাবি, নদীখাতে আগে থেকেই বোল্ডার ফেলা হয়েছিল, যাতে যেদিকে বিসর্জন হবে, সেদিকে বেশি জল যায়।