রিঙ্কলস থেকে মুক্তি পেতে চান! ব্যবহার করুন ফেস মাস্ক

তৃতীয়পক্ষ রূপকথা- আয়নার সামনে দাঁড়ালেই দেখতে পাচ্ছেন চোখের চারপাশে, কপালে কুঁচকে যাওয়া আর দাগ? বয়স বাড়বেই। কিন্তু তাকে আটকাবেন কীভাবে! বয়স হলেই যে ত্বক কুঁচকে যাবে তারও তো কোনও মানে নেই। আর এখন বলিরেখা বা রিঙ্কলস অনেক কম বয়সেও আসতে পারে। তবে সঠিক উপায়ে কিন্তু ধরে রাখা যায় বয়সের চাবিকাঠি।

কেন ব্যবহার করবেন ফেস মাস্ক

বছরের পর বছর ধরে ফেস মাস্ক ব্যবহার করা হচ্ছে আমাদের ত্বকের সৌন্দর্যের জন্য। রিঙ্কলস দূর করার জন্যও ফেস মাস্ক খুব কার্যকরীভাবে ব্যবহার করা হয়ে আসছে। কিন্তু রিঙ্কলস দূর করা ছাড়াও ফেস মাস্ক যে আরও অনেক দিক থেকে আমাদের উপকারে আসে, এ কথা অনেকেই জানেন না।

  1. ফেস মাস্ক আমাদের ব্লাড সার্কুলেশন ভাল করে। ফেস মাস্ক ব্যবহার করার আগে আপনাকে খানিক ক্ষণ স্কিনে ম্যাসাজ করে নিতে হয় হাল্কা হাতে। এতে ব্লাড সার্কুলেশন ভাল হয়। ফলে অক্সিজেনের প্রবাহ বাড়ে। স্কিনে সতেজতা আসে।
  2. স্কিনের টানটান ভাব বজায় রাখে ফেস মাস্ক। ফলে সহজে চামড়া কুঁচকে যায় না।
  3. স্কিনের পোর্স ভিতর থেকে পরিষ্কার রাখে আর খোলা রাখে। অনেক সময়ে ময়লা জমে স্কিন পোর্স বন্ধ হয়ে যায়। ফেস মাস্ক এই সমস্যাও দূর করে।
  4. যদি আপনার চোখের তলায় কালি হয়ে থাকে বা ব্রণর জন্য দাগ হয়ে থাকে, তাহলে ফেস মাস্ক ব্যবহার করুন। অভাবনীয় ফল পাবেন।
  5. স্কিনে সঙ্গে সঙ্গে একটা অনবদ্য জেল্লা দেখতে পাবেন ফেস মাস্ক ব্যবহার করার পর।
  6. স্কিনকে খুব সুন্দর ভাবে কোমল রাখে ফেস মাস্ক।
  7. স্কিনের বেশির ভাগ সমস্যার প্রধান কারণ হল ডেড স্কিন সেল বা বলতে পারেন মড়া চামড়া। এই মড়া চামড়ার জন্য স্কিনে যতই প্রোডাক্ট ব্যবহার করা হোক না কেন তা যেতে চায় না। স্কিন অনুজ্জ্বল লাগে। ফেস মাস্ক স্কিনের এই মড়া চামড়া দূর করে দেয়।
  8. ফেস মাস্ক স্কিন টেক্সচার ঠিক করবে। স্কিন টেক্সচার অর্থাৎ স্কিনের রঙ নয়। আপনার স্কিন অয়েলি হোক, ড্রাই হোক বা নর্মাল, সেই টেক্সচার আরও ভাল করে ফেস মাস্ক।
  9. ফেস মাস্ক স্কিন হাইড্রেট করে। স্কিনের আর্দ্রতা বজায় রাখে। স্কিনের পি.এইচ লেভেল ঠিক রাখে।
  10. স্কিনের যদি কোনও দাগ ছোপ থেকে থাকে তাহলে তাও দূর হয়ে যায় ফেস মাস্ক ব্যবহারের ফলে।

কোন ধরণের ফেস মাস্ক ব্যবহার করবেন-

অরেঞ্জ পিল

অরেঞ্জ পিল অর্থাৎ কমলালেবুর খোসা। এই অরেঞ্জ পিল শুকিয়ে নিয়ে গুঁড়ো করে রেখে দিলে ফেস মাস্কে ব্যবহার করা যায়। এর অ্যান্টি অক্সিডেন্ট উপাদান রিঙ্কলস দূর করে স্কিন টানটান করতে সাহায্য করে।

গ্রিন টি

গ্রিন টি অ্যান্টি এজিং উপাদান হিসেবে খুব গুরুত্বপূর্ণ। এতে আছে পলিফেনোলিক, যা ত্বকের বার্ধক্য রোধ করে। এর পাশাপাশি গ্রিন টির মধ্যে আছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট উপাদান, যা বার্ধক্যের চিহ্ন দূরে রাখে।

হলুদ

রক্ত পরিষ্কার করা, স্কিন থেকে দাগ তুলে দেওয়া, হলুদের এই সমস্ত গুণের কথা তো আমরা জানি। হলুদ কিন্তু রিঙ্কলস দূর করতেও খুব ভাল কাজ দেয়। স্কিনের টানটান ভাব ধরে রাখে হলুদ। সঙ্গে ফিরিয়ে আনে ত্বকের জেল্লা।

স্যান্ডলউড

স্যান্ডলউড স্কিনকে টোনড করে। স্কিন টেক্সচার নর্মাল করে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যে একটা বুড়িয়ে যাওয়া অনুজ্জ্বল ভাব আসে, সেটাও চন্দন দূরে রাখে। চন্দন স্কিন টাইট রাখে। সঙ্গে ব্রণ বা দাগ ছোপ আসতে দেয় না।

টক দই

টক দই স্কিন টানটান রাখতে, ত্বকের ইলাস্টিসিটি ধরে রাখতে খুব ভাল কাজ দেয়। ত্বকের ময়েশ্চার ধরে রাখে, সঙ্গে ত্বকে আনে উজ্জ্বলতা। টক দইয়ের মধ্যে থাকা সেলেনিয়াম রিঙ্কলস বা বার্ধক্যের চিহ্ন সহজে আসতে দেয় না।

শেয়ার করতে:

You cannot copy content of this page