আপনি কি জল কম খাচ্ছেন? কীভাবে বুঝবেন!

জলের ঘাটতি বা ডিহাইড্রেশন। আমাদের শরীরের সবথেকে বড়ো সমস্যা। কাজের চাপে বা অবহেলার কারণে অনেক সময়ই আমরা জল খাই না। আর যার ফলে সমস্যা শুরু হতে থাকে। যে কোনও অসুখেই ডক্টর কিন্তু পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খেতে বলেন। শরীর ডিটক্স করার জন্য, শরীরে অক্সিজেনের ঘাটতি যাতে না হয় সেই জন্য, ক্লান্তি ভাব কাটানোর জন্য ও অন্যান্য কারণে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খাওয়া প্রয়োজন।

একজন সুস্থ ও প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষকে কম পক্ষে আট গ্লাস জল প্রতিদিন খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। আপনি কীভাবে বুঝবেন আপনার শরীরে জলের ঘাটতি হচ্ছে বা ডিহাইড্রেশন হচ্ছে?

কীভাবে বুঝবেন শরীরে জলের ঘাটতি হচ্ছে?

  1. আপনার বেশ জল তেষ্টা পাবে
  2. আর জল তেষ্টা পাওয়া মানেই কিন্তু আপনার শরীরে সেই সময় জলের প্রয়োজন। শরীরে জলের ঘাটতি হলে এইটাই সব থেকে বড় লক্ষণ।
  3. প্রস্রাবের রঙ হলুদ ও গাঢ় হলুদ হতে পারে
  4. দিনে যে পরিমাণ জল খাওয়া উচিত, তার থেকে কম পরিমাণ খেলেই প্রস্রাবের রং বদলে যায়। এমন পরিস্থিতিতে বার বার গাঢ় হলুদ রঙের প্রস্রাব হবে। সঙ্গে প্রস্রাবের সময় খুব জ্বালাও করতে পারে বা টান ধরতে পারে।
  5. এরকম দেখলে ২০ মিনিট ছাড়া ছাড়া এক গ্লাস করে জল খান। যতক্ষণ না প্রস্রাবের রং স্বাভাবিক হচ্ছে, ততক্ষণ এই নিয়ম মেনে জল খেয়ে যেতে হবে, না হলে কিন্তু ডিহাইড্রেশন হতে পারে। হতে পারে আরও নানা ধরনের শারীরিক সমস্যার শুরু। তাই এমন সব লক্ষণকে উপেক্ষা করবেন না।
  6. মাথায় খুব যন্ত্রণা করলে অনেক সময় বাড়ির বড় সদস্যরা আমাদের জল খাওয়ার পরামর্শ দেন। জল খেলে উপকারও পাওয়া যায় ঠিকই।
  7. ডিহাইড্রেশনের সঙ্গে মাথা যন্ত্রণার সরাসরি যোগ রয়েছে। শুনলে অবাক হবেন, শরীরে কয়েক শতাংশ জলের ঘাটতি হলেই মাথা যন্ত্রণা শুরু হওয়ার আশঙ্কা থাকে। যতক্ষণ না সেই ঘাটতি মিটছে, ততক্ষণ মাথা যন্ত্রণা করে।
  8. শরীরে জলের ঘাটতি হলেই রক্তচাপ কমতে শুরু করে, যে কারণে মাথা যন্ত্রণা হয়। কারণ, মস্তিষ্কেও কম পরিমাণ অক্সিজেন পৌঁছায়। যখনই দেখবেন কোনও কারণ ছাড়াই হলকা মাথা যন্ত্রণা হয়েই চলেছে, তখন ঝটপট কয়েক গ্লাস জল খেয়ে নিন।
  9. শরীর পর্যাপ্ত জল না পেলে মস্তিষ্কের কাজও ঠিক হয় না। মানব মস্তিষ্কের ৭০ শতাংশই জলে পরিপূর্ণ। তাই তো দেহে জলের ঘাটতি হলে ব্রেণের ক্ষমতা কমতে থাকে, যে কারণে মনোযোগ ক্ষমতা কমে যায়। তাই বুঝতেই পারছেন প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খাওয়াটা কতটা জরুরি।
  10. শরীরে জলের ঘাটতি হলে মুখগহ্বর এবং জিভ শুকোতে শুরু করে। সঙ্গে স্যালাইভার উৎপাদন কমে যায় এতে। স্বাভাবিক ভাবেই ব্যাকটেরিয়ার প্রকোপ বাড়তে থাকে। ফলে মুখ থেকে দুর্গন্ধ বেরোয়। তাই এবার থেকে এই লক্ষণগুলি নজরে এলেই দুই গ্লাস জল খেয়ে নেবেন। সঙ্গে-সঙ্গে স্বস্তি মিলবে।
  11. হৃদস্পন্দন বেড়ে যেতে পারে। দেখবেন অল্প কাজ করেই হাঁপিয়ে যাচ্ছেন? অল্প অল্প শ্বাসকষ্টও হচ্ছে! তাহলে এই নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই যে, আপনি দিনে তিন লিটারও জল খাচ্ছেন না। শরীরে জলের ঘাটতি হলে বা জলের চাহিদা পূরণ না হলেই রক্তের ভলিউম কমতে থাকে।
  12. যার ফলে হৃৎপিণ্ডকে স্বাভাবিকের থেকে দ্রুত কাজ করতে হয়। তাই হার্ট রেট তো বাড়েই, সঙ্গে শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যাও মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে।
  13. জল খান নিয়ম মতো।
  14. একটা রিমাইন্ডার সেট করুন। যাতে আপনার জল খাওয়ার কমতি মেটাতে পারে।

 

শেয়ার করতে:

You cannot copy content of this page