বাংলা পাঁজি ডাইরি প্রকাশ করলেন পোশাক শিল্পী ইরানী মিত্র
ঠাকুর বংশের বৌ ঠান জ্ঞানদানন্দিনী দেবী স্বামীর কর্মসূত্রে মুম্বাই গিয়ে সিন্ধি মহিলাদের শাড়ি পরার ধরনে আকৃষ্ট হয়ে বঙ্গ ললনাদের উপহার দিলেন আধুনিক শাড়ির ফ্যাশন। যুগের দাবিতে বাংলায় পোশাক শিল্পীরা সেই শাড়িকে দিয়েছেন নানা রূপ। এমনই এক পোশাক শিল্পী ইরানী মিত্র। শাড়ি নিয়ে তাঁর কল্পনার জগতে সৃষ্টি করে চলেছেন নিত্য নতুন রূপ। ইন্দো ওয়েস্টার্ন শাড়ির আবিষ্কার তাঁকে এনে দিয়েছে খ্যাত, যশ , সম্মান।
বাংলা চলচ্চিত্রের শিল্পীরা ইরানী মিত্রের শাড়ির নান্দনিক শিল্পে অভিভূত। ২০০৮ এর সন্ধিক্ষণ থেকে সেই ট্র্যাডিশন সমানে চলেছে। সোমবার সন্ধ্যার দক্ষিণ কলকাতায় নিজের স্টুডিওতে তিনি মিলিত হলেন সাংবাদিকদের সঙ্গে। উপলক্ষ বাংলা পাঁজির ডাইরি নিয়ে। তিনবছর আগে ভেবেছিলেন এমন কিছু উপহার মডেল , চলচ্চিত্র জগতের অভিনেত্রী প্রযোজক ও পরিচালক বন্ধুদের ও মেকআপ আর্টিস্টদের দিতে চান যা বাজারে মেলে না।
আর এবছর ডায়েরী তে ছিল দুই বাংলার অপূর্ব মেলবন্ধন; এপার বাংলার মডেল দের ডায়েরী ফটোশুট করেন ওপার বাংলার বিশিষ্ট চিত্রগ্রাহক রূপম চৌধুরী। দক্ষিন কলকাতার সাউথ সিটি মল পার্শ্বস্থ ইরানী মিত্র বুটিকে গত ১০ই জুন সন্ধ্যায় তৃতীয় বছরে পদার্পণ করা ইরানী মিত্র পাঁজি ডায়েরীর আনুষ্ঠানিক প্রকাশ হয়।
শাড়ি হোক বা লেহেঙ্গা পাঞ্জাবী হোক বা কুর্তা তাঁর ডিজাইন করা সবরকমের পোশাক সব সময়ই একটু ব্যতিক্রমী ও সৃজনশীল। বৈচিত্র্যে ভরা এই ফ্যাশন জগতে কলকাতার মেয়ে ইরানীর পথ চলা প্রায় এক যুগ পেরিয়েছে,ফ্যাশন ডিজাইনের উপরে কোনো পুঁথিগত বিদ্যা বা ডিগ্রী না থাকা ইরানীকে এই ফ্যাশান ইন্ডাস্ট্রির অনেক চড়াই উতরাই পথ পেরোতে হয়েছে, ছোট থেকেই হনুমানজীর ভক্ত ইরানী কে যেন সব রকম বাঁধা পেরোনোর মানুষিক সাহস সবসময় যুগিয়েছেন স্বয়ং বজরংবলি। এমনটাই মনে করেন ইরানী। সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে তাঁর যুগান্তকারী পোশাকভাবনা দেশ বিদেশের বিভিন্ন নামী দামী ফ্যাশন শো তে দর্শকদের মন জয় করেছে।
ইরানী মিত্রের মা চাইতেন বছরের নতুন পাঁজি। মাথায় এলো ডাইরিতে যদি পাঁজি সংযোজন করা যায়। তারপর সেই কল্পনা বাস্তবে রূপ নিল। সাড়া পড়ে গেল তাঁর পরিচিত মহলে। সিনেমার নায়ক নায়িকা থেকে শুরু করে বিভিন্ন নামী দামী মডেলরা এমনকি নবাগত মডেলরাও তাঁর ডিজাইন করা পোশাকে তাক লাগিয়ে দিচ্ছেন দেশ বিদেশের বিভিন্ন ফ্যাশন ম্যাগাজিনে। টলিউড বলিউডের বিভিন্ন ইভেন্ট তা সে ফিল্মের প্রিমিয়ার হোক বা ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল কিংবা অ্য়াওয়ার্ড সেরিমনি সবেতেই ইরানীর ডিজাইন করা পোশাকে সেজে ওঠা নায়ক নায়িকারা পাপারজি ও পেজ থ্রি রিপোর্টারদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠে।
এবারেও প্রতিষ্ঠিত ও নবাগত মডেল ও মেকাপ আর্টিস্টদের তিনি ডাইরিতে স্থান দিলেন। সম্বর্ধনায় তাঁদের হাতে তুলে দিলেন স্মারক ও ডাইরি। ডাইরি প্রকাশ করলেন পরিচালক রাজা সেনের স্ত্রী পাপিয়া সেন, সম্বর্ধিত হলেন মডেল ও মেকাপ আর্টিস্টরা। তালিকায় ছিলেন, মহুয়া রায়, রেহান চৌধুরী , দিব্যদ্যুতি বিশ্বাস, শালিনী ভট্টাচার্য, সাগরিকা গুপ্তা , রিক্তা আচারিয়া, পারমিতা চ্যাটার্জি , রাজলক্ষ্মী, শুভশ্রী সেন, নীলাঞ্জনা রায় সরকার,চন্দ রায়,সোর্যেন্দু, আকাশ, সায়নী সম্প্রীতি ও সীমা দাস প্রমুখেরা।
খবর সংগ্রহ– স্বাতী চৌধুরী, DRADIX