জাতীয় সঙ্গীত চলার মাঝপথেই হুইসেল বাজালেন রেফারি!
তৃতীয়পক্ষ ওয়েব- পশ্চিম বর্ধমান জেলার কুলটিতে ঘটল বিরল ঘটনা। যাকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠল বিতর্ক। কুলটির বিজেপি বিধায়ক অজয় পোদ্দারকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে সমালোচনার ঝড় বইছে রাজনৈতিক মহলে। শাসক দল তৃণমূল তীব্র আক্রমণ করে অজয় পোদ্দারকে।
কিছুদিন আগে কুলটির সাঁকতোড়িয়ার হাতিনল এলাকায় একটি ফুটবল টুর্নামেন্টে উপস্থিত হন কুলটির বিজেপি বিধায়ক অজয় পোদ্দার। খেলোয়াড়দের সঙ্গে যখন তিনি পরিচয় পর্ব সারছেন, তখনই হঠাৎ মাইকে বাজতে শুরু করে জাতীয় সঙ্গীত। আর এতেই রীতিমতো বিরক্ত প্রকাশ করেন বিধায়ক। বিধায়ক অজয় পোদ্দারের সামনেই হুইসেল বাজিয়ে জাতীয় সঙ্গীত থামানোর ‘নির্দেশ’ দেন ফুটবল টুর্নামেন্টের রেফারি।
জলপাইগুড়ি ও উত্তর ২৪ পরগনায় করোনার সংক্রমণ উর্ধ্বমুখী
যার ফলে বেশ কিছুক্ষণ পরিচয়পর্ব বন্ধ থাকার পর ফের খেলোয়াড়দের সঙ্গে পরিচয় পর্ব শুরু করেন বিধায়ক। সম্প্রতি এই ভিডিওটি ভাইরাল হতেই রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে বিতর্ক। বিতর্কিত ভিডিওটি কুলটির বিধায়ক অজয় পোদ্দার নিজের ফেসবুকেও পোস্ট করেন। কুলটির শাসক দলের নেতারা ঘটনার তীব্র নিন্দায় সরব। জেলা তৃণমূল নেতৃত্বরা বলছেন, ‘বিজেপি যেরকম শিক্ষায় শিক্ষিত তাতে ওদের কাছে এটাই স্বাভাবিক, ওদের সম্পর্কে কিছু বলতেই রুচিতে বাধে। আমরা মনে করি জাতীয় সঙ্গীতকে অবমাননা করেছেন বিধায়ক’।
কুলটির বিধায়ক অজয় পোদ্দারের দাবি, ‘এটা সংগঠকদের ভুল। মাঝপথে জাতীয় সঙ্গীত বাজিয়ে দিয়েছিল। খেলোয়াড়দের সঙ্গে পরিচয় পর্বের সময় জাতীয় সঙ্গীত বাজানো ঠিক নয়। তাই বন্ধ করা হয়েছিল। পরে আবার আমরা নিয়ম-নীতি মেনে সম্মানের সঙ্গে সবাই মিলে জাতীয় সঙ্গীত গেয়েছি’।
কিন্তু এখানেই অনেকের প্রশ্ন, হুইসেল বাজিয়ে বিধায়কের সামনে মাঝপথে জাতীয় সংগীত বন্ধ করে দেওয়া হল তা কি জাতীয় সংগীতকে অবমাননা করা নয়? বিধায়কের সামনেই মুখোমুখি দাঁড়িয়ে রেফারি যখন হুইসেল বাজিয়ে জাতীয় সংগীত বন্ধ করলেন তখন কেন তার প্রতিবাদ করলেন না বিধায়ক অজয় পোদ্দার? এই প্রশ্নও তুলছেন অনেকে। যখন জাতীয় সঙ্গীত বাজছে তখন সবার থেমে যাওয়া উচিত ছিল। ভুলবশতই যদি জাতীয় সংগীত বাজানো হয়ে থাকে তখন ফুটবল খেলোয়াড়দের সঙ্গে বিধায়কের পরিচয় পর্ব সাময়িক বন্ধ রাখাই উচিত ছিল। জাতীয় সঙ্গীতকে অবমাননা করা হয়েছে বলে মত অনেকের।