সাইক্লোন ম্যান মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র
পিনাকী চৌধুরী- আবহাওয়া বিজ্ঞানের খুঁটিনাটি বিষয়ে তিনি সম্পূর্ণ ওয়াকিবহাল । তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ঘূর্ণিঝড়ের নির্ভুল ভবিষ্যতবাণী ! আর সম্ভবত সেই কারণেই মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্রকে সারা বিশ্ব চেনে ‘ সাইক্লোন ম্যান ‘ হিসেবে! ১৯৯২ সালে মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র পুণের আইএমডি তে যোগদান করেন। পদার্থবিজ্ঞানের স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করে তিনি আজও হয়তো কিংবদন্তি ! ২০১৯ সালে মৌসম ভবনের ডিরেক্টর হিসেবে কাজ শুরু করেন।
বস্তুতঃ ২০০৭ সালের আগে আবহাওয়া বিজ্ঞানের তেমন উল্লেখযোগ্য উন্নতি সাধন সম্ভব হয়নি। কিন্তু তার পর থেকেই মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্রের হাত ধরে এবং অবশ্যই প্রযুক্তিগত উন্নতির ফলে ঘূর্ণিঝড়ের আগাম পূর্বাভাস যেন অক্ষরে অক্ষরে মিলে যায় ! কিন্তু মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্রকে কেন ‘ সাইক্লোন ম্যান ‘ বলা হয় ?
মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র অতীতে তিতলি, ফণি, আমফানের মত বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড়ের সঠিক পূর্বাভাস দিয়েছিলেন ! এমনকি অনেকেই আড়ালে আবডালে বলেন মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্রের নাকি ঘূর্ণিঝড়ের বশ করবার ক্ষমতা রয়েছে। তিনি আধুনিক প্রযুক্তির দৌলতে এবং আবহাওয়ার নানান অনুষঙ্গের চুলচেরা বিশ্লেষণ করে সেই ঘূর্ণিঝড় কোথায় এবং কত কিলোমিটার বেগে আছড়ে পড়তে পারে , তার আগাম পূর্বাভাস দিতে পারেন। সারা বিশ্ব আজ মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্রকে কুর্ণিশ জানায়।