অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি! মুরগির পালক থেকে তৈরি হচ্ছে খাবার

ওমা মুরগির পালক আবার কেউ খায় নাকি! এইসব হতচ্ছাড়া গুলো কোথা থেকে যে এইসব পায় কে জানে বাপু। হ্যাঁ একটু বয়োজেষ্ঠ্য কাউকে বললেই নাক সিটকে যা তা কাণ্ড করে ফেলবেন আর কি। আমরাই বা কম যাই কিসে। কিন্তু এরকম সত্যিই একজন করে ফেলেছেন। এখন যখন করেই ফেলেছেন, জেনে নিই আসল ব্যাপারটা।

এই মানুষটি মুরগির পালক খায়। থাইল্যান্ডে বসবাসকারী এক বিজ্ঞানী যিনি তাঁর সমস্ত মাংসের প্রোটিন পান এই মুরগির পালক থেকেই। সোরাউত কিত্তিবানথর্ন (Sorawut Kittibanthorn) নামের এই বিজ্ঞানী কাজটি করেছেন সম্প্রতি। যিনি মুরগির পালক থেকে খাবার বানিয়েছেন। আর যা খেতে আসল খাবারের মতোই।

সোরাউত যখন লণ্ডনে পড়াশুনো করতেন, তখন থেকেই মাথায় আসে এরকম আইডিয়া। তিনি বিভিন্ন নষ্ট হয়ে যাওয়া খাবার পরীক্ষা করে দেখেন যে রোজ প্রচুর পরিমানে মুরগি কাটা হয় খাবারের জন্য। আর সেই মুরগির পালকগুলি চলে যায় ডাস্টবিনে।

হ্যাঁ, এই জিনিস বানাতে গিয়ে তাঁকে অনেক অনেক পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। এরপর আসে সঠিক সিদ্ধান্তটি। পালক থেকে পাওয়া প্রোটিন মানুষের আরও একটি খাবারের ভূমিকা নিতে পারে, এমনটাই বলেছেন এক সাক্ষাৎকারে।

 

সেই শুরু হয় তাঁর যাত্রা। এরপর পালক রিফর্ম করে তৈরি করেন স্টেক টারটারে, কেটো ফ্রেন্ডলি পাস্তা, পালক-মাংস। করেন বিভিন্ন ফুড শো। তাঁর মতে সারা বছর যেভাবে মুরগির পালক ডাস্টবিনে চলে যায়, যা দূষণ সৃষ্টি করে। সেখান থেকে এই প্রসেসটি করলে এতে আরও খাদ্যের সংরক্ষণ হবে। কিছুই নষ্ট হবে না তাহলে।

শেয়ার করতে:

You cannot copy content of this page