গদ্দারকে নিশানা করে বললেন, ‘যাও, গেট আউট’
১১ বছরের শাসনকালে কেউ ছিলেন একাধিক দফতরের মত্রী, কেউ বা পর্ষদের চেয়ারম্যান। আর নির্বাচন আসতেই তাঁরা বলতে শুরু করলেন ‘দলে থেকে কাজ করতে পারছি না। দমবন্ধ হয়ে আসছে’। হ্যাঁ ঠিক এভাবেই আক্রমণ হানলেন দলের সঙ্গে গদ্দারি করা ব্যক্তিদের। তৃণমূল নেত্রী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাঁকুড়ার সভায় গিয়ে এভাবেই বললেন আজ।
মূলত শুভেন্দু অধিকারী, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এবং আরও অনেকের প্রসঙ্গ তুলেই ধারণ করলেন রুদ্রমূর্তি। বললেন, ‘নির্বাচনে এক ইঞ্চি জমি ছাড়বেন না তিনি।’। গদ্দারদের উদ্দেশ্যে বললেন, ‘যাও, গেট আউট’।
টাকা ছড়িয়ে জনতাকে কেনার জন্যে উঠেপড়ে লেগেছে গেরুয়া শিবির। এই কথাই তিনি সভায় জানালেন সবাইকে। এমনকি টাকা দিয়ে ভোট কেনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার কথাও বললেন নেত্রী। জনতার কাছে বন্দ্যোপাধ্যায় আকুতি করে জানালেন, ‘মা–ভাই–বোনদের বলছি, টাকা ছড়াচ্ছে বিজেপি। তাঁদের ধরিয়ে দিন! যারা ধরিয়ে দিতে পারবেন, তাঁদের একটা পুরস্কার, একটা চাকরি! বিজেপি রাতের অন্ধকারে, এমনকী দিনের বেলাতেও টাকা বিলিয়ে দিচ্ছে জনতার মধ্যে। তাই যদি বলে খরচ দিচ্ছি, ভোটে ওদের খরচ করে দেবেন। টাকা নেবেন কী নেবেন না, সেটা একান্ত আপনার ব্যাপার! তবে এই টাকাটা কিন্তু ওদের নয়। ওই টাকাটা নোটবন্দির, পিএম কেয়ার্স ফান্ডের, ব্যাঙ্ক, বিমা, রেল আর বিএসএনএল বিক্রির টাকাই ওরা ছড়াচ্ছে!’
এদিন বাঁকুড়ার সভা থেকেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘দিল্লি, বিহার, উত্তরপ্রদেশ থেকে বিজেপির পুলিশ নিয়ে আসা হচ্ছে এখানে। তাদের প্রতি ভালোবাসা আর সম্মান রয়েছে আমার। কিন্তু এখানে দেখতে পাচ্ছি, কেন্দ্রীয় সরকারের স্টিকার লাগিয়ে টাকা বিলি করা হচ্ছে। এটা নিশ্চয়ই ওদের কাজ নয়! সবাই বুঝতে পারছে সিপিআইএম হাতে করে বিজেপিকে নিয়ে এসেছে। যারা যারা সিপিআইএম করত তারাই এখন বিজেপিতে যোগ দিয়েছে। আর তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে আমাদের দলে থাকা কিছু গদ্দার।’