ডাইনোসরদের থেকেও প্রাচীন এই মে ফ্লাই বাঁচে শুধু ২৪ ঘন্টা

তৃতীয় পক্ষ ডেস্ক – বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘজীবী প্রাণীদের কথা ভাবলেই আমাদের মাথায় প্রথমেই আসে নীল তিমি বা কচ্ছপের কথা । তবে গভীর সমুদ্রে থাকা আরও বিভিন্ন দীর্ঘজীবী প্রাণীদের সন্ধানে বিজ্ঞানীরা সফল হয়েছেন।  উল্লেখ্য,আইসল্যান্ডের সাগরে কিছুদিন আগে পাওয়া কুয়াহগ ঝিনুক পরীক্ষা করে দেখেছেন যে ঝিনুকটির বয়স প্রায় ৫০৭ বছর।  তবে তিমি হলো স্তন্যপায়ী প্রাণীদের মধ্যে সবচেয়ে দীর্ঘজীবী প্রাণী।  আর পৃথিবীতে সবচেয়ে কম দিন বেঁচে থাকা প্রাণীটি হলো মে ফ্লাই নামে একটি পোকা, এদের জীবদ্দশা সময়কাল মাত্র একদিন ।

এক আশ্চর্যের ব্যাপার হল, এই একদিনের মধ্যেই এরা বংশ বিস্তার করতে সক্ষম। এদের বিভিন্ন ধরনের গাছে দেখা যায়। তবে এদের আধিক্য লক্ষ্য করা যায় ধানক্ষেতে বা ফসলের ক্ষেতে। মে ফ্লাইয়ের বাচ্চাদের নায়াড বলে । বাচ্চাদের চেহারা অনেকটা ব্যাঙাচির মতো হয়। তারা জলের নীচে কাদামাটিতে থাকে। ওদের সরু সুতোর মতো ২-৩ টি লেজ এবং শ্বাসকার্য চালানোর জন্য মাছের মতো ফুলকাও থাকে । পূর্ণাঙ্গ মে ফ্লাইদের আয়ু একদিন হলেও ওদের বাচ্চারা জলের নীচে প্রায় একবছর শ্যাওলা,ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জীবিত ও মৃত প্রাণী খেয়ে জীবনধারণ করে।  এরা জলে সাঁতার কাটতে জানলেও উড়তে অক্ষম হয়।

মে ফ্লাইদের বাচ্চাদের খেয়ে অনেক প্রাণী বেঁচে থাকে। কোনও জলাশয়ে থাকা মে ফ্লাইদের বাচ্চাদের উপস্থিতি ওই জলাশয়ের স্বচ্ছতার প্রমাণ দেয়। কারণ-মে ফ্লাইদের বাচ্চারা কখনই অপরিষ্কার জলে থাকে না। পৃথিবীর অনেক দেশেই মে ফ্লাইদের নিয়ে নানারকম বিশ্বাস প্রচলিত আছে।উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে,আমেরিকা ও জাপানের অনেক লোক একে শক্তি, সৌহার্দ্য, পবিত্রতা, সৌভাগ্য,আনন্দ ও স্বচ্ছতার প্রতীক মনে করে। এছাড়া,রাশিয়ায় প্রতি বছর একটি হ্রদে একটি নির্দিষ্ট দিনে কোটি কোটি মে ফ্লাইরা মিলিত হয় এবং একই দিনে মারা যায়। এই ঘটনাটি সত্যিই বিস্ময়কর।

দেবস্মিতা ঘোষ

শেয়ার করতে:

You cannot copy content of this page