নির্বাচন কমিশনে তৃণমূল, মমতাকে খুনের ষড়যন্ত্র

তৃতীয় পক্ষ ডেস্ক : গতকাল নন্দীগ্রামে খুন করার ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকেই। নন্দীগ্রামে ঘটে যাওয়া ঘটনাকে নির্বাচন কমিশন কখনোই দায় এড়িয়ে যেতে পারে না। যেভাবে ভোটের দিন ঘোষণা করার পর পুলিশকে নিষ্ক্রিয় করে দেওয়া হয়েছে, অপসারিত করে দেওয়া হয়েছে ডিজিকে। এরপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ। এই আক্রমণের দায়ভার কারা নেবে? তাঁর উপর আক্রমণ যে হতে পারে এমনটা আগে থেকেই নাকি জানানো হয়েছিল। তবে কেন এতো দায়সারা ভাবে নিরাপত্তা দেওয়া হলো রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে। কেন এরকম হল নির্বাচন কমিশনকে তদন্ত করতে হবে। এই গোটা বিষয়টি যে চক্রান্ত করে ঘটানো হয়েছে এমনটা অভিযোগ তুলে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হল তৃণমূল কংগ্রেস।

প্রসঙ্গত গতকাল সন্ধেয় নন্দীগ্রামে প্রচারে বেড়িয়ে আহত হন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ঘটনাকে চক্রান্তের অভিযোগ আনেন তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। সাংবাদিক সম্মেলনে পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানান, ‘রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা বজায় রাখতে, সুষ্ঠুভাবে কাজ করছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু ভোটের দিন ঘোষণার পরেই কমিশন পুলিশের এডিজিকে অপসারিত করা হল। সবথেকে বড়ো কথা তাঁর উপর আক্রমণের পূর্বাভাস আগে থেকেই দেওয়া ছিল। তবুও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি কমিশন। এর দায়িত্ব কে নেবে?’

এদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায় আরও জানান, ‘বিজেপি’র বক্তব্যেই এটি স্পষ্ট ছিল। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা আজ যেদিকে যাচ্ছে। পুলিশকে যেভাবে নিষ্ক্রিয় করে দেওয়া হচ্ছে, সামনে আরও বিপদের দিন আসতে চলেছে। নির্বাচন কমিশন এ বিষয়ে উদ্যোগ নেবে, এবং ঘটনার তদন্ত করবে। এ বিষয়ে আশাবাদী। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে এদিন কমিশনে গিয়েছেন ডেরেক ও ব্রায়েন এবং চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যও। কি করে জেট ক্যাটাগরি প্রাপ্ত একজনের উপর হামলা হল, গোটা ঘটনা কমিশনকে দেখতে হবে বলে, তারা জানান।

তবে সোশ্যাল মিডিয়া তোলপাড়। ভোটের মুখে সহানুভূতি কুড়োতেই মুখ্যমন্ত্রী এরকম অভিনয় করছেন। বিজেপির একাংশ বলছেন, ভোটে সহানুভূতি নিয়ে দিদি জিততে চাইছেন। ভয় পেয়ে গেছেন দিদি’।

শেয়ার করতে:

You cannot copy content of this page