ফের একবার কি কাছে আনছে তৃণমূল ও কংগ্রেসকে
তৃতীয়পক্ষ ওয়েব- পশ্চিমবঙ্গে কিন্তু এই দুটি দলের মধ্যে চরম সংঘাত। কিন্তু আর যাই বলুন কেন্দ্রে ক্রমশ প্রকাশ্যে আসছে সখ্যতা। পেগাসাস কাণ্ড কাছাকাছি আনছে তৃণমূল কংগ্রেস ও কংগ্রেসকে। এর একমাত্র কারণ দুই দলেরই প্রধান নেতা রাহুল গান্ধী এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। যারা মূলত পেগাসাসের অন্যতম টার্গেট।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সোনিয়া গান্ধি যে ফের একবার মুখোমুখি হতে চলেছেন, তার আভাস পাওয়া গিয়েছিল ২১ জুলাই। মঞ্চে দাঁড়িয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা বলেছিলেন, কেন্দ্র থেকে সেগুলিই শুনছিলেন কংগ্রেস নেতা পি চিদাম্বরম, দিগ্বিজায় সিংহরা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁদের নাম করে শ্রদ্ধা প্রদর্শন করেই এদিন একুশের বক্তব্য শুরু করেন এবং যুক্ত ফ্রন্ট গড়ার ডাক দেন।
সূত্রের খবর অনুসারে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই কংগ্রেসের দিকে হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন কারণ তিনি বিশ্বাস করেন যে আগামী ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে সরাতে কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে জোট গঠন করা অসম্ভব। তার একমাত্র কারণ গোটা দেশে কংগ্রেসের এখনও একটি বড় সমর্থক রয়েছে। তাঁর এই বার্তা নিয়েই সম্ভবত প্রশান্ত কিশোর দিল্লি গিয়ে বৈঠক করেছেন গান্ধি পরিবারের সঙ্গে।
অন্যদিকে কংগ্রেস তৃণমূল বোঝাপড়ায় সবচেয়ে বড় কাঁটা ছিল অধীর চৌধুরীর সঙ্গে তৃণমূলের তিক্ত সম্পর্ক। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সংঘাত এড়াতে অধীর চৌধুরীকে লোকসভায় দলনেতার পদ থেকে সরিয়েও দিতে পারে কংগ্রেস। তবে শেষ মুহূর্তে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া থেকে পিছিয়ে আসে কংগ্রেস। তবে এখন দেখা যাচ্ছে দুটি দলই কিছুটা ঘুরিয়ে একে অন্যের পক্ষে দাঁড়াচ্ছে। যেমন পেগাসাস কাণ্ডে তৃণমূলের পক্ষ থেকে প্রশান্ত কিশোর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম করার সময় রাহুল গান্ধির নামও বলা হচ্ছে। এছাড়া অন্য দিকে শোনা যাচ্ছে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে সংযোগ রক্ষার জন্য আলাদা করে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে পি চিদাম্বরম এবং অভিষেক মনু সিংভি-কে।
তবে আসল কথা, তৃণমূল এবং কংগ্রেসের এক হওয়া নির্ভর করছে মমতা-সোনিয়ার সাক্ষাৎ। সামনের সপ্তাহেই এই সাক্ষাৎ পর্ব সম্পন্ন হতে চলেছে। মমতা ব্যানার্জীর সঙ্গে সোনিয়া গান্ধীর সম্পর্ক অনেকদিনের। কিন্তু এই মুহূর্তে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাখির চোখ ২০২৪ নির্বাচন। মোদি সরকারকে সমূলে উপড়ে ফেলার লক্ষ্যেই যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুরনো তিক্ততা ভুলে নতুন করে সখ্যতা গড়তে চান, এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞেরা।