ফের চালু হচ্ছে টোকেন, বাড়তে চলেছে মেট্রো সংখ্যা

কলকাতা, তৃতীয়পক্ষ ডেস্ক:   দীর্ঘ লকডাউনের পর সব কিছু সচল হলেও মেট্রো চলছিল খুব কমসংখ্যক যাত্রী নিয়ে। যেখানে সাধারণ যাত্রীরা শুধুমাত্র স্মার্টকার্ড নিয়েই যাতায়াত করতে পারছিলেন। এবার সব কিছু ঠিক থাকলে মার্চের ১৫ তারিখ থেকে কলকাতা মেট্রোর উত্তর-দক্ষিণ, ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোতে আগের মতোই টোকেন চালু হতে চলেছে।

সংবাদ সূত্রে খবর, করোনার জেরে যাত্রী পরিষেবা বিঘ্নিত হওয়ার দীর্ঘদিন কেটে গেছে, এবার মেট্রো কর্তৃপক্ষ চাইছেন যাত্রী পরিষেবা স্বাভাবিক হয়ে যাক। যার ফলে তারা টোকেন ব্যবস্থা চালু করতে চলেছেন। এছাড়া বাড়ানো হবে সময়সীমাও। আগামীকাল অর্থাৎ বুধবার থেকে থেকে উত্তর-দক্ষিণ মেট্রোয় ট্রেনের সংখ্যা ২৪৪ থেকে বাড়িয়ে ২৫২ করা হচ্ছে। সকালে দক্ষিণেশ্বর থেকে প্রথম ট্রেন সকাল ৭টার পরিবর্তে ৬টা ৫০ মিনিটে ছাড়বে।

একই সাথে দমদম থেকে দক্ষিণেশ্বরগামী এবং দমদম থেকে কবি সুভাষগামী ট্রেনও সকাল ৭টার পরিবর্তে ৬টা ৫০ মিনিটে ছাড়বে। কবি সুভাষ থেকে দক্ষিণেশ্বর যাওয়ার প্রথম ট্রেনের সময়েও হয়েছে পরিবর্তন। সকাল ৭টা থেকে ১০ মিনিট থেকে এগিয়ে ৬টা ৫০ মিনিট করা হচ্ছে। দক্ষিণেশ্বর থেকে আগের ৭৯টি ট্রেন বেড়ে নতুন সূচিতে চলবে ৮৫টি ট্রেন। দমদম থেকে দক্ষিণেশ্বর যাওয়ার ট্রেনের সংখ্যা ৩টি থেকে বাড়িয়ে ৫টি করা হচ্ছে। কবি সুভাষ থেকে দক্ষিণেশ্বরগামী ট্রেনের সংখ্যাও ৭৯টি থেকে বাড়িয়ে ৮৭টি করা হচ্ছে।

রাতের শেষ ট্রেন দক্ষিণেশ্বর থেকে ৯টা ১৮ মিনিটের পরিবর্তে রাত ৯টা ২৮ মিনিটে ছাড়বে। একই ভাবে দমদম থেকে কবি সুভাষগামী রাতের অন্তিম ট্রেন সাড়ে ৯টার পরিবর্তে ওই দিন থেকে রাত ৯টা ৪০ মিনিটে ছাড়বে। শনিবার ২২৮টি-র পরিবর্তে ২৩২টি ট্রেন চলবে। কবি সুভাষ থেকে দক্ষিণেশ্বরের মধ্যে সারাদিনে ১৫৬টির পরিবর্তে ১৬০টি ট্রেন চলবে। এক্ষেত্রে, দিনের প্রথম এবং শেষ মেট্রোর সময় একই থাকছে। রবিবার মেট্রোয় ট্রেনের সংখ্যা ১০২ থেকে বাড়িয়ে ১০৪ করা হচ্ছে। যার মধ্যে, ১০২টি ট্রেন কবি সুভাষ থেকে দক্ষিণেশ্বরের মধ্যে চলবে। তবে রবিবার উত্তর-দক্ষিণ মেট্রো পরিষেবা শুরু হবে সকাল ৯টায়। ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর ক্ষেত্রে অবশ্য এখনই ট্রেনের সংখ্যা বাড়ছে না।

দীর্ঘদিন টোকেন চালু না থাকায় অনিয়মিত যাত্রীরা সমস্যায় পড়ছিলেন। অনেকেই স্মার্টকার্ড কিনে যাতায়াতের পরে তা মেট্রো স্টেশনে জমা দিয়ে অবশিষ্ট অঙ্কের টাকা ফেরত নিয়ে যাচ্ছিলেন। যার জেরে প্রত্যেক যাত্রায় মেট্রো কর্তৃপক্ষের এক বিশাল অংকের টাকা করে ক্ষতি হচ্ছিল। ফলে, যাত্রীদের চাহিদার কথা মাথায় রেখেই টোকেন ফিরিয়ে আনা হচ্ছে বলে মেট্রো সূত্রের খবর।

এইমুহুর্ত সব স্টেশনের একটি করে টোকেনের কাউন্টার খোলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। চাহিদা বাড়লে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ সাপেক্ষে টোকেনের কাউন্টারের সংখ্যা বাড়ানো যাবে। বুকিং কাউন্টারের কর্মীরা যাত্রীদের টোকেন দেওয়ার সময় কী ধরনের সতর্কতা গ্রহণ করবেন, সে সম্পর্কে এখনও জানানো হয়নি। যাত্রীদের ব্যবহৃত টোকেন কীভাবে জীবাণুমুক্ত করা হবে, সেটাও স্পষ্ট নয়। মেট্রোয় করোনা যুদ্ধে সামনের সারিতে থাকা কর্মীদের প্রতিষেধক দেওয়ার কাজ শুরু হলেও সিংহভাগ কর্মীই এখনও তা পাননি। ফলে, টোকেন ব্যবহার হলে সংক্রমণ বৃদ্ধির আশঙ্কা করছেন মেট্রোর কর্মীদের বড় অংশ। তবে মেট্রোর কর্তাদের দাবি, সমস্ত রকম প্রস্তুতি নিয়েই মেট্রোর টোকেন চালু করা হচ্ছে।

 

শেয়ার করতে:

You cannot copy content of this page