বরাকে থাকতে হলে জানতে হবে অসমিয়া, বিতর্কিত মন্তব্য অসমের শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যানের!
বরাক উপত্যকায় বসবাসকারী বাঙালিরা অসমিয়া ভাষা না শিখলে তাঁরা অসম থেকে চলে যেতে পারেন। ঠিক এমনই বিতর্কিত মন্তব্য করতে শোনা গেল অসমের উচ্চ শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান-এর মুখ থেকে। এই নিয়ে গোটা রাজনৈতিক মহলজুড়ে বিতর্কের আবহ।
এই বক্তব্য অবশ্য বিজেপি বা কংগ্রেস কাউকেই সমর্থন করতে দেখা গেল না। উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদের চেয়ারম্যানের মুখে এই বক্তব্য শুনে, বিতর্কের আবহ অসম জুড়ে। এরমধ্যেই চেয়ারম্যান দয়ানন্দ বরগোহাইয়ের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছেন শিলচরের বিদায়ী বিধায়ক তথা স্পিকার দিলীপকুমার পাল। তিনি অভিযোগ করেছেন, দয়ানন্দ অসমের মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন।
গত বছর অসমে ভাষা শিক্ষা আইন পাশ হয়েছিল। সেই আইনে বরাক উপত্যকার বড়ো মিডিয়াম স্কুলগুলি ছাড়াও অন্য স্কুলে অসমিয়াকে একটি ভাষা হিসেবে পড়ানোর কথা বলা হয়। এরপর অসমের মধ্যশিক্ষা পর্ষদ বরাক উপত্যকার এই স্কুলগুলিতে অসমিয়াকে ঐচ্ছিক ভাষা হিসেবে নেওয়ার কথা বললেও পরে নতুন নির্দেশিকা জারি করে জানানো হয়, ওই সব স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা ঐচ্ছিক হিসাবে অসমিয়া ভাষাকে নাও নিতে পারে, তবে তাঁদের অসমিয়া ভাষাকে সপ্তম বিষয় হিসাবে পড়তে হবে। অন্যদিকে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের এই সংশোধনীর সমালোচনা করেন উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদের চেয়ারম্যান। সরাসরি অসমের মধ্যশিক্ষা পর্ষদের চেয়ারম্যান আর সি জৈনকে আক্রমণ করেই তিনি বলেন,‘উনি কতটা অসমিয়া সে বিষয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে আমার।অসমিয়া আবেগকে তিনি কতটা সম্মান করেন, সেটা তাকেই প্রমাণ করতে হবে।’
এই প্রসঙ্গে বিজেপির অপর এক মন্ত্রী পরিমল শুক্লা বৈদ্য বলেন, ‘দয়ানন্দের নজর রাখা উচিত ছিল কীভাবে অসমের শিক্ষাব্যবস্থার উন্নতি করা যায়। উনি একজন সরকারি কর্মচারী ছাড়া আর কিছুই নন। বরাক উপত্যকার লোকেরা অসমিয়া ভাষা ভালোভাবেই জানেন। বরাক উপত্যকা অসমে থাকা উচিত কী উচিত নয়, সেই উপদেশ আমরা অন্য কারোর কাছ থেকে কেন নেব।’