বিদায়বেলায় অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন ব্রজ রায়
পিনাকী চৌধুরী– মরণোত্তর দেহদান এবং অঙ্গদান আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ তথা গণ দর্পণের প্রতিষ্ঠাতা প্রাণপুরুষ ছিলেন ভবানীপুরের বাসিন্দা ব্রজ রায়। কিন্তু কোভিড আক্রান্ত হয়ে গত ১৩ মে তিনি প্রয়াত হন । মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর। ব্রজবাবু তাঁর জীবদ্দশায় চাইতেন যে মৃত্যুর পরে তাঁর দেহ যেন বিজ্ঞানের কাজে লাগে । আর বাস্তবে ঠিক তাই হল । রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের অনুমতি মেলার পরে ১৪ মে আর জি কর মেডিক্যাল হাসপাতালে প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে ব্রজ রায়ের দেহের প্যাথলজিক্যাল অটোপসি করা হল । ভারতে তো বটেই এমনকি এশিয়াতেও এই প্রথমবার হল । কিন্তু এই বিশেষ ধরনের ময়নাতদন্তে কি জানা যাবে ? বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে , কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলে তাঁর দেহের কোন কোন অঙ্গ বা প্রত্যঙ্গ কতটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তার বিস্তারিত বিবরণ জানা সম্ভব এইধরনের ‘ প্যাথোলজিক্যাল অটোপসি’ তে ।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, ১৯৯০ সালে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজে প্রথম দেহদান হয়েছিল, আর তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে সেখানেই ব্রজ রায়ের প্যাথোলজিক্যাল অটোপসি করা হল ! করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর পরে এইধরনের ময়নাতদন্ত পূর্বভারতে প্রথম হল , এবং এতে বিজ্ঞানের অগ্রগতি হবে। সাধারণত ময়নাতদন্ত দুই রকম – অস্বাভাবিক মৃত্যু হলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে এবং দ্বিতীয়ত রোগনির্ণয়ের জন্য এইধরনের এ প্যাথোলজিক্যাল অটোপসি । তাই আক্ষরিক অর্থেই ব্রজ রায় প্রয়াণেও এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন।