বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়-এর কবিতা
পরি ও বিকিনি
সঙ্কট কালেই যত বিপর্যয় ঘটে যেত রোজ
নিরাপত্তা বলয়ের সন্নিকটে আপৎকালীন
চতুর্দশপদাবলি থেকে আমি যেহেতু দালির
ডায়েরিতে মজে আছি, মধ্যরাতে বিষণ্ণ সরোদ
কে বাজায়,কেন বাজে স্বভাবত খেয়াল করিনি
অথচ দেখেছি ছাতে রক্তাক্ত ঘুঙুর পড়ে আছে
পিডোফিল পুরুষেরা, জানি,থাকে আনাচে কানাচে
কেউ নাকি দেখেছিল, নৃত্যরত পরি বা হরিণী
নিশ্চিত প্রমাণ নেই,অথচ এ দালানবাড়িতে
হরিণ একদা ছিল, এমনকি ডানাখসা পরি
এ বাড়ির ছেলেটিকে একদিন চেনাল শরীর
সেই ছেলে,পরি নয়,ব্যস্ত হল গালা ও দালিতে
ঘুঙুর কে পরেছিল,সেই পরি?পরণে বিকিনি!
পরির পায়ের দিকে চোখ তুলে দুবার দেখিনি..
মহাভারতের কথা
আজি হতে শতবর্ষ পরে উঠে দেখি
মহাভারতের নামে ছাপা হল একি!
পর্বে পর্বে অবিশ্বাস ছত্রে ছত্রে বিষ
ভুল তত্ত্ব ভুল তথ্য লেখা অহর্নিশ।
ধৃতরাষ্ট্র রাষ্ট্রগুরু অন্ধ নন তিনি
গান্ধারী সুন্দরীশ্রেষ্ঠা বিগতা যামিনী।
ভীষ্ম নাকি বিবাহিত বৃদ্ধ পিতামহ
দ্রোণাচার্য সঙ্গীতজ্ঞ বানান আবহ
আছে আরো কর্মকাণ্ড, ভীমের মহিমা
ঘটোৎকচ কেন করে পান্ডবেরে ঘৃণা
অর্জুন দেশের নেতা, বামপন্থী, সৎ
শ্রীকৃষ্ণ বিরুদ্ধ দলে,লক্ষণ, ভরত
পান্ডবের কর্ণ হেড, দধীচির পিতা
যুধিষ্ঠির শেষমেশ বারাঙ্গবনিতা
সঙ্গ করে ধর্মচ্যূত, কৌরবের দলে
দ্রৌপদী স্পিভাক কবি, পড়েন সকলে
তাদের পিছনে নাকি স্বয়ং শ্রীরাম
বিধাতা চ্যানেল দেখে যারা পূণ্যবান
মহাভারতের কথা আজো এক ধাঁধা
কৌরব শিবিরে ভালো পাহাড়িয়া দাদা
যুদ্ধ নয় শান্তিবন, পুষ্পটি লাগান
সম্পাদক বৃক্ষরাজ, এগ্রিকোবাগান!
শঙ্করদার জন্য সনেট
শুভ জন্মদিন
আকাশে তখনও সূর্য পড়েনি ঢলে
রক্তজমানা ভরেনিকো কুয়াশায়
বসন্ত দিন এসেছিল গুটি পায়ে
তখনো পৃথিবী সাম্যের কথা বলে
তুমি ছিলে এক নতুন দিনের দূত
ইতিহাস হাতে পায়ে পায়ে হেঁটে চলা
গল্পে ও গানে নিচু স্বরে কথা বলা
রোমাঞ্চকর মেধাবী আগন্তুক
শহর ছাড়িয়ে দূরে দূরে জ্বলে আলো
স্বপ্ন দেখালো চাইবাসা ঝাড়গ্রাম
সাথে জুড়ে নিলে বিখ্যাত কত নাম
সকল দ্বন্দ্ব বিরোধের মাঝে ভালো
ভালোটিকে ঘিরে জড়ো হোক প্রিয় নাম
কেক ফুল কফি রবিঠাকুরের গান
অপারগ
জানা নেই বুঝি
কিছুই লিখতে পারিনা!
জানা নেই বুঝি
‘না’ বলার উৎসাহে
প্রতিবিম্বের অন্তরে কাঁপে জল
ওকে বারবার কীভাবে জানাব, পারিনা
জলের সঙ্গে ছলনা?
পারি তাও পারি
জানা থাকে যদি
রেডিও, টিভি ও কাগজে
তোমার বদলে নিজের নামটি
বসিয়ে দেবার কৌশল