ভুলভ্রান্তি দিবস-রজনি এবং একটি ব্যক্তিগত কথার আবেগ
রূপকথা বসু
খুব জিজ্ঞেস করতে ইচ্ছে করছে কেমন আছেন আপনি এবং আপনারা? আমাদের রাজ্যে এখন ছয় ঋতু’র সঙ্গে আরও একটি ঋতু জড়িয়ে পড়েছে, সেটা হল ভোট ঋতু। এখানে এই কেউ আসে তো পরদিনই আরও কেউ চলে আসে। গলা উঁচিয়ে, নাক তেড়িয়ে কথা বলে। দুয়ারে দুয়ারে দাঁড়িয়ে থাকে নমস্কার! আসুন দাদা, বসুন দাদা।
এদিকে মুহুর্তের মধ্যে মন খারাপ হয়ে যায়। জানলায় এসে বসে কালো কাক। কিন্তু কাকটাকেই বা দোষ দিই কি করে। দেওয়ালে দেওয়ালে পোস্টার, এই দেওয়া হবে, ওই দেওয়া হবে। আপনারা এখানে আসুন, আপনাদের স্বাচ্ছন্দ্য মতো। আপনারা ভোট দিন, আমরা আপনাদের সুখ দেবো, শান্তি দেবো। কিন্তু… হে হে। বুঝে নিন না হয়। এখানে চাকরি নেই, দু’মুঠো ভাতের জন্যে অনেক লড়াই।
ডিপ্রেসনের কথা কেউ শোনে না। আর কেউ একা থাকলে তো তাকে আরো আরো একা করে দেওয়ার জন্যে উঠে পড়ে লেগে যায়। আর যেই একটা দুর্ঘটনা ঘটে। তারপর শুরু হয়, আহা! উঁহু! কি ভালো মানুষটাই না ছিল। আজকাল এইসবই চলছে। ‘ফগ’ চলার মতো।
আপনারা ভালো আছেন, অবশ্যই ভালো থাকবেন। অন্যদিকে কিন্তু সব চুরি হয়ে যাবে সিঁধেল চোরের হাতে। আপনার কাছ থেকে কেড়ে নেবে নিশ্বাস পর্যন্ত। এভাবে কঠিন হতে হতে দেখবেন আপনিও শালগ্রাম শিলার মতো হয়ে গেছেন। কিছুই উপলব্ধি করতে পারছেন না আর।
তবে যাই হোক, এখন কিন্তু সাবধানে থাকবেন গুরু। কখন ছোঁয়া লেগে স্বপ্ন দেখতে শুরু করবেন, বুঝতেই পারবেন না। কি দিন এসেছে, মন খুলে গাইতেও পারছি না দু’ হাত মেলে , ‘রঙ দে তু মোহে গেরুয়া’। ওরে এখানে আবার অন্য কিছু ভেবে নেবেন না যেন। এইসব দু এক কলি গান গাইতে হয়। নাহলে পিছিয়ে পড়তে হয়।