ভোট আসে ভোট যায়, দীর্ঘ ১০ বছরেও সংস্কার হয়নি জলপাইগুড়ি নিকটবর্তী রাস্তার
জলপাইগুড়ি : জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের গন্ডার মোড় থেকে মন্ডলঘাটের করলা নদী সংলগ্ন বাঁধের ৫-৭ কিলোমিটার রাস্তার বেহাল দশা । মন্ডলঘাট গ্রাম পঞ্চায়েত ও খড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের কয়েক হাজার বাসিন্দার একমাত্র অবলম্বন এই রাস্তাটি । শিলিগুড়ি থেকে হলদিবাড়ি পর্যন্ত রেলপথের ব্যবস্থা থাকলেও করোনার থাবায় সেটিও বন্ধ হয়ে আছে । অবশ্য সূত্রের খবর বিগত একমাস যাবৎ রেল পরিষেবা চালু হলেও হাতেগোনা কিছু ট্রেন চলছে । তবে থামছে না ছোট স্টেশনগুলিতে ।
এহেন অবস্থায় জনগণের শহরে যাওয়ার একমাত্র পথ এই বাঁধটি । দীর্ঘ 20 বছরে মাত্র একবার রাস্তার কাজ হলেও তা এতটাই নিম্নমানের যে 3 বছরের মাথায় পিচ উঠে গিয়ে বালি – পাথরের স্তর দাত খিচিয়ে হাসছে । ছোটো – বড়ো গর্তে ভরে আছে সম্পূর্ণ রাস্তা । ধুলোর জন্য পরিষ্কার ভাবে দেখাও যায় না , যার জন্য মাঝেমধ্যেই ঘটছে দুর্ঘটনা । এই সমস্যা রাতের দিকে দ্বিগুণ ভাবে বেড়ে যায় , কারণ পথবাতির ব্যবস্থাও নেই । এলাকা অন্ধকারাচ্ছন্ন হলে নানান জায়গায় বসে মদ – জুয়ার আসর । ফলে এলাকার পরিবেশ হয়ে উঠে আরও খারাপ ।
ভোট আসে , তার সুতো ধরে এই এলাকায় আসতে হয় বিভিন্ন নেতা – মন্ত্রীদের । কাজের কথা বললে মেলে শুধুই প্রতিশ্রুতি , যা কখনোই বাস্তবায়িত হয়নি । এবং ভোট পর্ব মিটলেই এইসব সাধারণ মানুষের প্রয়োজন ফুরিয়ে যায় তাদের কাছে । চাইলেও আর দেখা মেলেনা এই নেতা – নেত্রীদের ।
প্রতিবারের মতো এবারও এলাকাবাসীর দাবি শীঘ্রই সড়কের হাল ফিরিয়ে আনা হোক । কারণ নিত্যদিন এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে হয় তাদের , বিশেষত স্কুল কলেজ পড়ুয়া , বিভিন্ন চাকুরীজীবী ,ব্যবসায়ী , শ্রমিকদের । রোগীদের ক্ষেত্রে তা আরও দুর্বিষহ হয়ে উঠে ।
উপরন্ত বড়ো বড়ো বালি , পাথর বোঝাই গাড়ি – ট্রাক – ট্রলি ইত্যাদির নিত্য যাতায়াতের ফলে রাস্তার অবস্থা দিন দিন সঙ্কটজনক হচ্ছে । এলাকার টোটো চালকেরা উদ্বিগ্ন রাস্তার অবস্থা দেখে । তাদের কথায় এভাবে চলতে থাকলে তাদের পেট চালানো দায় হবে । যা ইনকাম হয় তার অর্ধেক প্রায় টোটো সারাতেই লেগে যায় । প্রতিদিন যাত্রীও মেলে না । সাধারণ জনগণের কথায় , ” যা রাস্তার অবস্থা তাতে বাড়ি থেকে বেরোতেই ভয় করে । কোনরকম কাজ সেরে বাড়ি ফিরতে হয় জীবন হাতে নিয়ে ” ।