মহামারী চলাকালীন সময়ে পুরুষদের কাজ গেছে বেশি

 পিনাকী চৌধুরী।। বাস্তবে গত দেড় বছর ধরেই প্রচার মাধ্যমের যাবতীয় আলো শুষে নিয়ে খবরে ভেসে আছে ‘ COVID 19 ‘ ভাইরাসের নামটি ! ব্যাপ্তি বিশাল , মারণ ক্ষমতাও আরও বেশি ! কিন্তু এই ভাইরাসের কারণে প্রচুর মানুষের রুটি রুজিতে টান পড়েছে । কর্মচ্যুত হয়েছেন অসংখ্য মানুষ। দ্বিতীয় তরঙ্গ এখন অনেকটাই স্তিমিত হয়ে গেছে । তবে অনেকেই আশঙ্কা করছেন তৃতীয় তরঙ্গ নিয়ে ! এ হেন উদ্ভূত পরিস্থিতিতে উপদেষ্টা সংস্থা সিএম আইই এর একটি সাম্প্রতিক সমীক্ষায় উঠে এসেছে যে করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় তরঙ্গের প্রভাবে শহরের পুরুষদের কাজ গিয়েছে মহিলাদের তুলনায় অনেক বেশি।

তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে গতবছর এই চিত্রটি সম্পূর্ণ বিপরীত ছিল । সিএম আই ই বলছে , সারা দেশে যত মানুষ কাজের বাজারে রয়েছেন, গতবছর সংখ্যার হিসেবে প্রায় ৬৩ লক্ষ মানুষের খোয়া যাওয়া কাজের মধ্যে শহরের মহিলা ছিলেন ২৪ লক্ষ । তবে এইবছর করোনা ভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় তরঙ্গের প্রভাবে এপ্রিল থেকে জুন মাস পর্যন্ত সবথেকে বেশি কাজ হারিয়েছেন শহরের পুরুষরা । যার ফলে দেশের অর্থনীতির এর প্রভাব পড়েছে ।

বস্তুতঃ সিএম আই ই এর কর্তা মহেশ ব্যাসের বক্তব্য খুবই প্রাসঙ্গিক। তাঁর মতে , শুধুমাত্র সংখ্যার নিরিখে এই সমস্যার গুরুত্ব বিচার করা যাবে না। আসলে মহেশ ব্যাসের বক্তব্য অনুযায়ী শহরের পুরুষরা কিন্তু তুলনায় উচ্চ শিক্ষিত এবং তাঁদের একটা বড় অংশ গুণগত মানের বিচারে যথেষ্ট ভাল কাজ করেন। আর তাঁদের কাজ হারানোর অর্থ হচ্ছে মোট আয় বিপুল পরিমাণে কমে যাওয়া এবং অবশ্যই দেশের অর্থনীতিতে প্রভাব পড়া ! এছাড়াও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই শহরের মহিলারা পরিবারের দ্বিতীয় রোজগেরে। তবে পুরুষদের কাজ গেলে অনেক পরিবারের আয় তলানিতে এসে ঠেকে এবং অবশ্যই ক্রয়ক্ষমতা উল্লেখযোগ্য হারে কমে। সেই কারণেই পুরুষদের কাজ হারানোর বিষয়টি যথেষ্ট উদ্বেগের ।

পরিসংখ্যান অনুযায়ী , সারা দেশের মোট কর্মসংস্থানে শহরের পুরুষরা ২৮% ভাগ জুড়ে রয়েছেন। এইবছর মার্চ মাস পর্যন্ত হারানো কাজের মধ্যে ২৬% শহরের পুরুষরা ছিলেন । তবে তার পরে এপ্রিল থেকে জুন মাস পর্যন্ত সেই শতাংশ টি বেড়ে হয়েছে ৩০% , অর্থাৎ যা কিনা যথেষ্ট উদ্বেগের বিষয় ।

শেয়ার করতে:

You cannot copy content of this page