‘যদিদং হৃদয়ং মম-তদিদং হৃদয়ং তব’, শতবর্ষে পৌঁছে আবার বিয়ে দম্পতির

পার হয়ে গেছে ১০০ বছর। পার হয়েছে পাঁচ প্রজন্মও। আর তাই বংশধরদের মঙ্গল কামনায় আবার বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলেন দম্পতি। তার সঙ্গে কার্ড ছাপিয়ে, ধুমধাম করে খাওয়ালেনও পড়শিদের।

হ্যাঁ এমনটাই ঘটল বাংলাদেশের দিনাজপুরের বিরল উপজেলার সীমান্ত সংলগ্ন গ্রাম দক্ষিণ মেড়াগাওয়ে। ধর্মীয় রীতি মেনে বাদ্য-বাজনা, নাচগান, প্রীতিভোজ সবই ছিল বিয়েতে। সেই বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দেন পাড়া-প্রতিবেশী থেকে শুরু করে আত্মীয়স্বজন, জনপ্রতিনিধিসহ সহস্রাধিক মানুষ। টানা তিন দিন ধরে চলে খাওয়াদাওয়ার আয়োজন।

বিয়ের আয়োজনে কোনও কমতি ছিল না। বর ১০৭ বছরের দক্ষিণ মেড়াগাঁও গ্রামের স্বর্গীয় ভেলগু দেবশর্মার ছেলে বৈদ্যনাথ দেবশর্মা। আর কনে ১০১ বছরের বিয়ে করা স্ত্রী পঞ্চবালা দেবশর্মা।

নিমন্ত্রণ পত্রে উল্লেখ করা ছিল ‘পরম করুনাময় ঈশ্বরের অশেষ কৃপায় আমার বয়স ১০৭ বছর। আমার স্ত্রী শ্রীমতি পঞ্চবালার সহিত প্রায় ৯০ বছর পূর্বে বিবাহ সুসম্পন্ন হয়। আমাদের বিবাহের পঞ্চম পীড়ি উত্তীর্ণ হওয়ায় ৮ ফালগুন রোববার এক সনাতনী বেদমন্ত্র উচ্চারণে ‘যদিদং হৃদয়ং মম-তদিদং হৃদয়ং তব’ পুনঃবিবাহ মিলনের অনুষ্ঠান সুসম্পন্ন হইবে। উক্ত পুনঃবিবাহ মিলন ও প্রীতিভোজ অনুষ্ঠানে আমার নিজ বাসভবনে উপস্থিত থাকার বিশেষভাবে অনুরোধ করছি। পত্র দ্বারা নিমন্ত্রণ করিলাম। ত্রুটি মার্জনীয়।’

নতুন বর বলেন, বিয়ের পাঁচ প্রজন্ম পার হয়েছে। আর এজন্যই ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী আবার এই বিয়ে। বংশধরদের মঙ্গলের জন্যই তিনি আবার বিয়ের পিড়িতে বসলেন। অন্যদিকে বিয়ের পিঁড়িতে বসে কনে পঞ্চবালা দেবশর্মা জানালেন, ছোটবেলায় বিয়ে হওয়ায় বিয়ে কী তা তিনি বোঝেননি। কিন্তু এবার এই বিয়েতে বেশ আনন্দ পাচ্ছেন তিনি।

তথ্যসূত্র- সোশ্যাল মিডিয়া

শেয়ার করতে:

You cannot copy content of this page