যে দিয়াঘর এখনও জ্বালিয়ে রাখে আলো
২০০ বছরের পুরনো এক বাতিঘর। হ্যাঁ এতদিন ধরে ক্রমাগত জ্বলে আসছে। ১৮২২ খ্রিষ্টাব্দে চট্টগ্রামের কর্ণফুলি নদীর মোহনা কুতুবদিয়ায় এই বাতিঘরটি নির্মিত। এই বাতিঘর সমুদ্রের নাবিকদের দিক নির্দেশনা দিয়ে থাকে। এর ফলে সমুদ্রের অগভীর অঞ্চল থেকে নাবিককে সতর্ক করে।
১৮৬০ সালে ব্রিটিশ সরকার এই নৌবন্দর গড়ে তোলে। ক্যাপ্টেন হেয়ারের নির্দেশনায় এই বাতিঘরটি নির্মিত হয়। যা নির্মাণ করতে ব্যয় হয়েছিল ৪ হাজার ৪২৮ টাকা। একটি বিশাল বড়ো পাথরের ওপর ১২০ ফুট উচ্চতায় এই টাওয়ার বানানো হয়। এরমধ্যে রয়েছে ৬টি কামরা এবং ৮টি ফিতে ওয়ালা ল্যাম্প। জ্বালানির জন্য ব্যবহৃত হত নারকেল তেল।
১৮৯৭ সালের ঘূর্ণিঝড়ে এই বাতিঘরটি ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং সমগ্র লাইট হাউস নড়বড়ে হয়ে যায়। ১৯৬০ সালের ঘূর্ণিঝড় ও সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাসে স্থায়ী ভাঙনে বিলীন হয়ে যায় লাইট হাউসটি। ৩৫ কিলোমিটার দূর পর্যন্ত দেখা যেত এই লাইট হাউসের আলো।
আগে বানানো বাতিঘরটি সমুদ্রে বিলীন হয়েছে। তবে এখনো ভাটার সময় বাতিঘরের ধ্বংসাবশেষ জেগে উঠতে দেখা যায়। ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়ে একমাত্র ওয়্যারলেস যন্ত্রটিও নষ্ট হয়ে যায়। বর্তমানে ডিজেল চালিত জেনারেটরের মাধ্যমে ১৫টি ব্যাটারিতে চার্জ করা হয় লাইটহাউসটি।