যে যত গরুর মালিক, তার ততগুলো বউ
ভিন্ন ভিন্ন জাতি নিয়ে গঠিত এই পৃথিবীতে নানান রকমের রীতিনীতি দেখা যায়। আফ্রিকা মহাদেশের দক্ষিনে অবস্থিত সুদান দেশটিতে মুন্ডারী নামের এক রাখাল সম্প্রদায়ের মানুষদের গরুকে কেন্দ্র করে জীবনধারণের অনেক রীতি সত্যিই অবাক করার মত।
বিস্তারিত পর্যালোচনায় আমরা জানতে পারি যে,মুন্ডারি সম্প্রদায়ের প্রধান সম্পদ গরু এরা আনকোল ওয়েতুসি নামক বিরাট সিং বিশিষ্ট প্রায় আট ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট গরুদের লালন পালন করে থাকেন। এই গরুগুলো স্বর্ণের চেয়েও মুন্ডারীদের কাছে অধিক মূল্যবান। গড়ে প্রতিটি গরুর মূল্য ৫০০ মার্কিন ডলার এই গরুর দুধ থেকে শুরু করে মূত্র ও গোবর সবকিছুই খেয়ে থাকেন মুন্ডারি সম্প্রদায়ের মানুষজন।এই গরুর শিং ও চামড়াও বেশ মূল্যবান।
পরিবারের ঘনিষ্ঠ সদস্যা ও রোগের প্রতিষেধক এই গরু।উপাসনার কাজেও এই গরু ব্যাবহৃত হয়ে থাকে।এতো কিছুর জন্য চোরা শিকারীদের থেকে এই গরুদের রক্ষার্থে প্রায়শই লড়াইয়ে লিপ্ত থাকে লম্বা ও পেশীবহুল স্বাস্থ্যের অধিকারী মুন্ডারি সম্প্রদায়।
তাঁদের মতে,গোমূত্র পানে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং এতে থাকা আম্যোনিয়া তাদের চুলকে কমলা করে। গোবরের ছাই গরুর শরীরে প্রলেপনে ক্ষতিকর জীবাণু থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। এছাড়াও মুন্ডারীদের পারিবারিক প্রথায় গরু হিসেবে ব্যাবহৃত হয়। গরুর সংখ্যার আধিক্যের ওপর স্ত্রী ক্রয়-বিক্রয় নির্ভরশীল। কারণ- এটাই বিনিময় মাধ্যম তাদের। মুন্ডারি সম্প্রদায়ের এইসব রীতি প্রমাণ করে যে,মানুষ ও প্রাণীর মধ্যে পারস্পরিক নির্ভরশীলতা কতটা বাস্তবতা আছে।
দেবস্মিতা ঘোষ