শব্দের ভুলে ‘ভারতীয় জনতা পার্টি’ হয়ে গেল ‘জনতীয় ভারতা পার্টি’
‘ভারতীয় জনতা পার্টি’ উচ্চারণ করতে গিয়ে খোদ তালগোল পাকালেন বিজেপি প্রার্থী নিজেই। মুখ্যমন্ত্রীর খাসতালুক ভবানীপুরে তিনিই ‘বিজেপির বাজি’। ভবানীপুর কেন্দ্রে ভোট যতই এগিয়ে আসছে, ততই চাপ বাড়ছে আরও। কিছুদিন আগেই তৃণমূল থেকে বিজেপি’তে গিয়েছেন রুদ্রনীল ঘোষ। তাই ঘাসফুলের ঘাঁটিতে পদ্মফুল ফোটানোর চাপ রয়েছে বেশ অনেকটাই। এদিকে বারবার বিজেপি-তৃণমূলের খন্ডযুদ্ধ লেগেই রয়েছে। এরজন্যেই কি সব তালগোল পাকিয়ে গেল বিজেপি প্রার্থী রুদ্রনীল ঘোষের! ‘বিজেপি’ অর্থাৎ ভারতীয় জনতা পার্টি উচ্চারণ করতে গিয়ে বলে ফেললেন ‘জনতীয় ভারতা পার্টি’।
আর এমন কাণ্ড করে নিজেও হাসতে শুরু করলেন। প্রচারে বেরিয়ে এরকম কাণ্ড কি ভাবে করে ফেললেন তাঁর বক্তব্যে নিজেই জানালেন, ‘যার সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে এমন উচ্চারণ বিভ্রাট, সেই ব্যক্তি আসলে অবাঙালি। রুদ্রনীল বুঝতে পারছিলেন না, প্রথমে কি ভাষায় কথা বলবেন। উলটো দিকের মানুষটা দক্ষিণ ভারতীয়। তাই বলতে গিয়ে তালগোল পাকিয়ে যায় তাঁর’। এর আগে ভোটের ময়দানে রুদ্রনীল বলেছেন ‘বিবিধের মাঝে দেখো মিলন মহান’। তাই ভোট প্রচারে এরকম ছড়িয়ে ফেলা অপরাধ নয়। মানুষ মাত্রেই যে ভুল হয়, সেটাও বলতে শোনা গেল তাকে।
প্রসঙ্গত, ভোটের বাজারে দল বদলের পর বক্তৃতা দিতে গিয়ে অনেকেই এমন বক্তব্য ছড়িয়ে ফেলেছেন। এমনকি স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও ফুটবল দিয়ে ‘বিজেপিকে বোল্ড আউট’ করতে চেয়েছিলেন। শুভেন্দু অধিকারীও পুরনো অভ্যেসের জেরে গেরুয়া মঞ্চে দাঁড়িয়েই তৃণমূলের পরিবর্তে বিজেপিকে তুলোধোনা করে ফেলেছিলেন প্রথমদিকে। এরকম উদাহরণ আরও অনেক রয়েছে। এবার সেই তালিকায় আবার যোগ হয়েছে রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষের ‘রগড়ে দেব’ মন্তব্যও। সোশ্যাল মিডিয়ায় যা নিয়ে মিমের শেষ নেই। বাংলার ভোটের রঙ্গমঞ্চে শব্দ আর উচ্চারণের কারিকুরিতে তাই মিমারদেরও বাজার মন্দ নয়। এবার রুদ্রনীলের বক্তব্যের পর আরও একপ্রস্থ ট্রলিং-এর খোরাক পেয়ে গেলেন তারা।