সুরোভিত অ্যান্টিসেপটিক ক্রিম বোরোলিন

পিনাকী চৌধুরী- আপামর বাঙালি আজও হয়তো মজে রয়েছেন এই সুগন্ধি ক্রিম বোরোলিন-এ! বাস্তবে সত্যিই এই বোরোলিন আজও যেন তুলনারহিত। বাঙালি একান্ত আদরের এবং পরম ভরসার দৃষ্টান্ত বোরোলিন! ১৯২৯ সালে গৌর মোহন দত্তের প্রতিষ্ঠিত এই বিখ্যাত ভারতীয় ব্র্যান্ড। পাঠক, আপনারা নিশ্চয়ই লক্ষ্য করেছেন যে, বোরোলিনের টিউবে একটি হাতির ছবি লোগো হিসেবে ব্যবহৃত হয়। কিন্তু কেন? মূলত ভারতীয় সংস্কৃতির ধারক ও বাহক হিসেবে এবং অবশ্যই স্থিতিশীলতা বোঝাতেই কিন্তু এই হাতির ছবিটি লোগো হিসেবে ব্যবহৃত হয়! সময়টা বড়ই অস্থির!

১৯৪৭ সালে পরাধীনতার শৃঙ্খল মোচন করে ভারত স্বাধীন হল! ‘৪৭ সালের ১৫ আগষ্ট বোরোলিনের পক্ষ থেকে সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যে এক লাখেরও বেশি বোরোলিনের টিউব বিনামূল্যে বিতরণ করা হল! কিন্তু এই বোরোলিন কি দিয়ে তৈরি করা হয় ? মূলত তিন ধরনের রাসায়নিকের মিশ্রণে নির্মাণ করা হয় এই সুগন্ধি অ্যান্টিসেপটিক ক্রিম। বোরিক অ্যাসিড, জিঙ্ক অক্সাইড এবং অ্যনহাইড্রোজ ল্যানোসালিন! কিন্তু এই ‘ বোরোলিন’ নামকরণের নেপথ্যে কি রয়েছে? বলাইবাহুল্য, বোরোলিন এর প্রথম অংশ বোরো শব্দটি বোরিক পাউডার থেকে উদ্ভূত এবং দ্বিতীয় অংশটি অলিন শব্দটি লাতিন শব্দ ওলিয়ানের পরিবর্তিত রূপ, যার অর্থ হল তেল !

আজও হয়তো আপামর বাঙালি গুনগুন করে গেয়ে ওঠেন ” সুরভিত অ্যান্টিসেপটিক ক্রিম বোরোলিন “! জানেন কি এই সুন্দর জিঙ্গলটি কে গেয়েছিলেন ? তৎকালীন সময়ে এই সুবিখ্যাত জিঙ্গলটি গেয়েছিলেন শ্রাবন্তী মজুমদার । আজ হয়তোবা বাজারে হাজার একটা ক্রিমের ছড়াছড়ি , কিন্তু বৈচিত্র্যে, বিন্যাসে ভরপুর এই বোরোলিন নামক ক্রিমটির জুড়ি মেলা ভার !

শেয়ার করতে:

You cannot copy content of this page