মেনোপজ

শুধু মহিলা’ই নয় পুরুষদেরও দেখা দেয় মেনোপজ

আমাদের সকলের জানা যে, একটা বয়সে এসে মহিলাদের মেনোপজ হয়ে থাকে। তবে পুরুষদের মেনোপজের বিষয়টি জানেন এমন ব্যক্তির সংখ্যা খুব কম। পুরুষদের মেনোপজ মহিলাদের তুলনায় খুব আলাদা। মহিলাদের পিরিয়ডস বন্ধ হয়ে যাওয়াকে মেনোপজ বলা হয়।আর এটি একটি স্বাভাবিক শারীরিক পরিবর্তন। মহিলাদের মেনোপজের পর তাঁরা প্রজননে অক্ষম থাকেন। অন্যদিকে বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে পুরুষদের শরীরে টেস্টোস্টেরনের স্তর কম হয়ে গেলে তাকে মেল মেনোপজ বলা হয়।

মেল মেনোপজকে সাধারণত এন্ড্রোপজ বলা হয়। বয়স বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুরুষদের হরমোনে পরিবর্তনের কারণে এরকম হয়। টেস্টোস্টেরন, এন্ড্রোজেন কমে যাওয়া ও দেরিতে শুরু হওয়া হাইপোগোন্যাডিসম কারণেই এটি হয়। পঞ্চাশোর্ধ্ব পুরুষের মধ্যে টেস্টোস্টেরনের উৎপাদন কমে যায়।

বিশেষজ্ঞদের মতে এটি প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া যা বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে হয়ে থাকে। এতে কোনও লক্ষণ দেখা যায় না। তবে অবসাদ বা অন্য কোনও পরিবর্তন দেখা গেলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

মেল মেনোপজের লক্ষণ

মহিলাদের মতো পুরুষদের মেনোপজও তাঁদের দৈনন্দিন জীবনকে নানান ভাবে প্রভাবিত করে। পুরুষদের জীবনের কিছু পরিবর্তন দেখে মেল মেনোপজ সম্পর্কে জানা যায়—

  • এনার্জি কমে যাওয়া
  • মনমরা হয়ে থাকা
  • অবসাদগ্রস্ত থাকা
  • মনোযোগী হতে না-পারা
  • অনিদ্রা
  • ওজন বৃদ্ধি বা মাংসপেশী দুর্বল হওয়া
  • যৌন ইচ্ছা কমে যাওয়া
  • বন্ধ্যাত্ব
  • পুরুষদের স্তন বৃদ্ধি
  • চুল ঝরা
  • হাড় দুর্বল হয়ে যাওয়া

কী করবেন

মেল মেনোপজের প্রতি ভারতীয় পুরুষরা গাম্ভীর্যের সঙ্গে চিন্তাভাবনা করেন না। এটি একটি প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া যা বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে পুরুষদের মধ্যে দেখা দেয়। তবে মেল মেনোপজের কোনও স্পষ্ট কারণ নেই। মেনোপজের সঙ্গে জড়িত কোনও সমস্যা অনুভূত হলে দেরি না-করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। যা যা লক্ষ্য করছেন সে সব নোট করুন। অনেকে লজ্জার কারণে মেল মেনোপজের বিষয় কথা বলেন না। তবে এটি লজ্জার বিষয় নয়। এ সময় একাকীত্ব অনুভব করলে বা মন খারাপ থাকলে ঘনিষ্ঠ ব্যক্তির সঙ্গে আলোচনা করুন।

এই সময় জাঙ্ক ফুড খাওয়া এড়িয়ে যাওয়াই ভালো। ফ্যাট, শর্করা এবং প্রোটিন টেস্টোস্টেরনের স্তরকে প্রভাবিত করে। খাদ্য তালিকায় জিঙ্ক, ওমেগা ৩, ভিটামিন ডি ও ক্যালশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার-দাবার অন্তর্ভূক্ত করুন। খুব মিষ্টি ও নোনতা, ক্যাফিন ও মেদযুক্ত খাবার খাবেন না। এগুলি অধিক পরিমাণে খেলে শারীরিক কর্মক্ষমতা এবং হরমোন তৈরি বাধা পেতে পারে।

শেয়ার করতে:

You cannot copy content of this page