মন্ত্রী জাকির হোসেনের উপর বোমার আঘাত! রেলের ঘাড়ে দোষ চাপালেন মমতা
পরিকল্পিতভাবেই যে রাজ্যের মন্ত্রী জাকির হোসেনের উপর হামলা করা হয়েছে। এমনটাই দাবি করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর সঙ্গে রাজ্যের আইন-শৃ্ঙ্খলার অবনতি নিয়ে তোলা অভিযোগকে খারিজ করে ঘটনার পুরো দায়ভার রেলের উপর চাপালেন তিনি।
প্রসঙ্গত গতকাল মুর্শিদাবাদের নিমতিতা স্টেশনে মন্ত্রী জাকির হোসেনকে লক্ষ্য করে বোমা ছোঁড়ে আততায়ীরা। বোমার আঘাতে গুরুতরভাবে আহত হন জাকির হোসেন এবং আরও বেশ কয়েকজন। সেখান থেকে তাঁকে সঙ্গে সঙ্গে জঙ্গিপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনাক্রমে বুধবার কলকাতায় ফেরার কথা ছিল তাঁর। সেই অনুযায়ী কনভয় ছেড়ে তিস্তা তোর্ষা এক্সপ্রেস ধরতে তিনি স্টেশনে ঢুকতে গিয়ে তাঁকে লক্ষ্য করে দুষ্কৃতিরা বোমা ছোঁড়ে। বোমার আঘাতে গুরুতর আহত হন জাকির হোসেন।
এদিকে আজ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মন্ত্রী জাকির হোসেন সহ দলের কর্মীদের দেখে আসার পর বলেন, এরকম বীভৎসতা দেখে গা শিউরে উঠছে। আজ সকালেই রাজ্যের শ্রম দফতরের প্রতিমন্ত্রীকে এসএসকেএমে নিয়ে আসা হয়। সেখানে দেখা করতে যান মুখ্যমন্ত্রী। জাকিরের শারীরিক অবস্থার বিষয়ে খোঁজখবর নেন। কথা বলেন স্ত্রী এবং ভাগ্নে-সহ পরিবারের লোকজনের সঙ্গে। হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে মমতা জানান, জাকিরের এখনও অস্ত্রোপচার চলছে। তাঁর শারীরিক অবস্থা ‘ভীষণ খারাপ’। আরও বললেন, এই বিস্ফোরণে ব্যবহার করা হয়েছিল রিমোট কন্ট্রোল। আরও বলেন জাকির হোসেনকে দলত্যাগের জন্য চাপ দেওয়া হয়েছিল, জাকির দলের প্রতি দায়বদ্ধ। তাই বিরোধী পক্ষ উঠেপড়ে লেগেছে।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছে সিআইডি, বোম্বস্কোয়াড, রেলের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। এছাড়া স্পেশাল টাস্ক ফোর্স এবং ফরেন্সিক দলও রয়েছে। প্রাথমিকভাবে তদন্তের পর অফিসাররা জানিয়েছেন পরিকল্পনা করে বোম্ব রাখা হয়।
পশ্চিমবঙ্গের শ্রম দফতরের মন্ত্রী ছাড়াও মুর্শিদাবাদ জেলার একজন নাম করা ব্যবসায়ী হলেন জাকির হোসেন। কে বা কারা তাঁকে লক্ষ্য করে বোমা ছুঁড়ল খুঁজে বার করতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। মুখ্যমন্ত্রী জানান, আহতরা সুস্থ হয়ে গেলে বনহুগলি থেকে কৃত্রিম অঙ্গপ্রত্যঙ্গের ব্যবস্থা করবে রাজ্য সরকার। যাঁরা গুরুতরভাবে আহত হয়েছেন, তাঁদের পাঁচ লাখ টাকা আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে। যাঁদের আঘাতের মাত্রা কম, তাঁদের এক লাখ করে দেওয়া হবে।