ছট

উত্তরবঙ্গে নিরাপত্তায় জোর নজর ছটপুজোয়

তৃতীয়পক্ষ ওয়েব- কালীপুজো শেষ। এবার সামনে ছটপুজো।মর্মান্তিক বিসর্জন কাণ্ডের পর নদীকেন্দ্রিক এই পার্বণকে ঘিরে প্রশাসন কোনও ফাঁক রাখতে চাইছে না। ডুয়ার্স মূলত নদী দিয়ে ঘেরা। লিস, ঘিস, মালনদী, জলঢাকা, সুখানী, কুজি ডায়না, ডায়নার মতো খরস্রোতা ও সেই সঙ্গে হড়পা বান প্রবণ নদীগুলি ঘিরে রয়েছে চারদিকে। সেগুলোর দিকে সতর্ক দৃষ্টি রেখে চলা হচ্ছে বলে প্রশাসনের কর্তারা জানিয়েছেন।

জলপাইগুড়ির জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু বলেন, ‘যেখানেই ছটপুজো হচ্ছে সেখানে যাতে সংশ্লিষ্ট কমিটিগুলি ব্লক প্রশাসনকে জানায় এমন নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্দিষ্ট কোনও নদীতে একসঙ্গে যাতে বেশি মানুষের ভিড় না হয় তা দেখা হচ্ছে। প্রয়োজনে এলাকায় কৃত্রিম জলাধার তৈরি করে দু’তিনটি স্থানে পুজো আয়োজনের কথা বলা হয়েছে’।

হড়পা বানঃ অভিশপ্ত সন্ধ্যায় ঘাটে ছিলেন হাজার খানেক মানুষ

ডুয়ার্সে অন্যতম বড়ো ছট পুজোর আসর বসে বানারহাট লাগোয়া ডায়না নদীতে। সেখানে ঘাটের দৈর্ঘ্য প্রতি বছর দেড় থেকে দু কিলোমিটার দাঁড়ায়। অন্তত সাতশো পরিবার সেখানে পুজো করতে আসেন। ১০০ জনকে ঘাটে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে রাখা হচ্ছে। ঘাট তৈরি করা হচ্ছে অল্প জল রয়েছে নদীর এমন একটি স্থানে। সেটিও নদী থেকে ৬ ফুট স্থান ছেড়ে। সতর্কতার ক্ষেত্রে কোনও আপোষ করা হবে না।

যেখানে ঘাট তৈরি হচ্ছে সেখান থেকে নদীর উজানের দিকে ১ কিলোমিটার পর্যন্ত স্বেচ্ছাসেবক রাখা হবে। যারা জলস্তরের ওপর নজর রেখে চলবেন।

শেয়ার করতে:

You cannot copy content of this page