‘ডোডোর দুষ্টুমীর পাঠশালায়’ ছোটদের নাটক ও একটি মরিয়া প্রচেষ্টা।। মিতালী সেন
আপনিই তৃতীয়পক্ষ- এবারে পুজো শুরুর আগে নতুন করে পাওয়া হলো ‘ডোডোর দুষ্টুমীর পাঠশালা’ সমস্ত শ্রেণীর ছাত্র ছাত্রী সঙ্গে একটি উপস্থাপনা, শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড়ে, আয়োজক ‘ফুটস্টেপ ফেডারেশন’ । সেরাম থ্যালাসেমিয়া প্রিভেনশন ফেডারেশনের অডিটোরিয়াম হল সেদিন খোলা ছিল ওদের জন্য, হ্যাঁ অংশগ্রহণকারীরা হলেন শহরের প্রান্তিক ছাত্রছাত্রী , বিশেষ ক্ষমতা সম্পন্ন শিশু ও কিশোর। কিশোরীরা পরিবেশন করলেন সুকুমার রায়ের ‘গন্ধবিচার’ এবং রেডলাইট এলাকার ছেলেমেয়েরা নাচে গানে ভরিয়ে দিল দ্বিগুণ উৎসাহে। সঙ্গে ছিল এই শহরের কিছু ছেলে মেয়ে। অরণ্য মাকে ছেড়ে এক মিটার দূরত্বের থাকতে রাজী নয়। তাই, তার ডোডো তাকে বলে ছিল, কাল এই সময় চলে আয় পাবলোর বাড়ি ওখানে আমারা সবাই সবাইকে কাছে থেকে দেখব আর আড্ডা মারব, ব্যস্ ! অরণ্যের উৎসাহ বাড়তে থাকে, এটাই ওর প্রথম স্টেজে ওঠা।
অনলাইনে মাত্র এক সপ্তাহের অনুশীলন, পরিচালক ডোডো নিজেই জানতেন না আদৌ কিভাবে সম্ভব !! দুবছর হয়ে গেল স্কুল বন্ধ এই বন্ধের বাজারে একটা হল পাওয়া গেছে, তা সে যতই ছোট হোক, তা দিয়েই মরিয়া চেষ্টা । দারুণ লাগলো । সব ধরনের বাচ্চাকে একত্রিত করার এই প্রয়াস অসীম ধৈর্যের পরীক্ষা তো বটেই। অশেষ ধন্যবাদ পরিচালক ডোডোকে।
তাদেরই কিছু ছবি রইল নিচে।