টলিপাড়ায় বিধ্বংসী আগুন, কোটি টাকার ক্ষতির আশঙ্কা
তৃতীয়পক্ষ ওয়েব- টলিপাড়ায় লাগল বিধ্বংসী আগুন। এখনও দমকলের ১৫ টি ইঞ্জিন রয়েছে ঘটনাস্থলে। আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে। গোডাউনের পাশাপাশি প্রচুর আবাসন রয়েছে। আগুন ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় আতঙ্কিত অনেকেই। আগুন লাগার সময়ে গোডাউনে কেউ ছিলেন না বলে তথ্যসূত্রে খবর। দমকলের বিরুদ্ধেও গাফিলতির অভিযোগ উঠছে। কারণ দমকলের ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে এলেও জলের ব্যবস্থা নেই। পাশের আবাসনগুলির রিজার্ভার থেকে জল নেওয়া হয়েছে। আবাসনের বাসিন্দারাও নিজেদের বাড়ির ছাদ থেকে পাইপ দিয়ে জল নেভানোর চেষ্টা করছেন। ঘটনাস্থলে রয়েছেন বিধায়ক অরূপ বিশ্বাস।
স্থানীয় সূত্রে খবর, সকাল ৬ টার কিছু পর আগুন লাগে গোডাউনে। স্থানীয় বাসিন্দারাই প্রথমে গোডাউন থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখেন। মুহূর্তের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়তে থাকে দ্রুত। গোডাউনের শেডটি ছিল টিনের। প্রচণ্ড শব্দে টিনের শেড ফেটে ভেঙে পড়ে। গোডাউনের মধ্যে দাহ্য পদার্থ থাকায় আগুন ছড়িয়ে পড়তে থাকে দ্রুত।
গোডাউনের সামনের রাস্তা অত্যন্ত সংকীর্ণ হওয়ায় ইঞ্জিন ঢুকতেও সমস্যা হচ্ছে। প্রযোজনা সংস্থা কর্তৃপক্ষের কাউকে দেখা যায়নি এখনও। তবে সেখানে একটি মুভি সংস্থার গোডাউনে প্রচুর অত্যাধুনিক ও মূল্যবান যন্ত্র, সরঞ্জাম, ক্যামেরা ও ইলেক্ট্রনিক জিনিসপত্র রয়েছে। কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা থাকছে। আগুনের গ্রাসে ভিতরের অধিকাংশ জিনিসই পুড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
দমকল আধিকারিকরা জানিয়েছেন, আগুন নেভানোটাই প্রাথমিক লক্ষ্য। আগুন লাগার কারণ পরে খতিয়ে দেখা হবে। শর্ট সার্কিট থেকে কোনও ভাবে আগুন লেগে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন দমকলকর্মীরা।
দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু বলেছেন, “প্রথমে চারটি গাড়ি আসে। এর পরে ১৫টা আসে। এখন আগুন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে। প্রচুর দাহ্য পদার্থ ছিল। দ্রুততার সঙ্গে দমকল কাজ করেছে। এখনও কিছু কিছু জায়গায় পকেট ফায়ার হচ্ছে। সেগুলোকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে দমকল।”