গল্প।। ঠোঙা।। মৃদুলকান্তি দে

সদর কার্যালয়ের দুই নম্বর গেটের উল্টোদিকে পোস্ট অফিস। নিরাপত্তার নিরিখে কর্মচারীদের অধিক চলাচল এই দ্বিতীয় প্রবেশ দ্বার দিয়েই। রক্ষীরা সারাক্ষণ তীক্ষ্ণ। এই সরকারি প্রতিষ্ঠানের পদাধিকরাও এই গেট ব্যবহার করেন । গাড়ির সংখ্যা এত বেড়ে গিয়েছে যে পার্কিং এর জন্য নির্দিষ্ট জায়গার বাইরেও অনেক গাড়ি, বিশেষত গাছতলার ছায়া থাকলেই হল । সকাল বেলা নয়টা থেকে সাড়ে নয়টা এই দক্ষিণী প্রবেশ পথের আধ কিলোমিটার দূর পর্যন্ত পুলিশ রাস্তার দু পাশে। এই পথ ধরেই জেনারেল ম্যানেজার চার গাড়ির কনভয় সমেত এসে থাকেন।
একদিন অফিস যাত্রী যদুনাথ ভুল করে, অথবা বলা যায় কৈশোরের বন্ধুকে দুই যুগ পরে চোখে পড়তেই আবেগ বিহ্বলতার বশে, আড়াআড়ি ভাবে রাস্তা পার হবার উপক্রম করেছিল । আধুনিক অস্ত্র সজ্জিত রক্ষী যদুনাথকে তখনই এক পাশে সরিয়ে আনল। বুকের জামা থেকে প্যান্টালুনের তলা পর্যন্ত হাত চালিয়ে দেখে নিল, যদুনাথ সন্দেহের উর্দ্ধে কিনা। ধমকের সুরে কী বলল। যদুনাথ হকচকিয়ে রীতিমত ঘেমে গিয়েছিল। সে যাত্রায় বন্ধুর নাগাল পেল না। বরং অফিস পৌঁছতে দেরি হয়েছিল বলে হাজিরা খাতার সে নাগাল পায় নি।
যদুনাথের সাহেব আধ ঘণ্টা পর ডেকে পাঠাল। দরজা ঠেলে যদুনাথ চেম্বারে ঢুকতেই সিনিয়র পার্সোনাল অফিসার রজত দাস তির্যক সুরে বললে, কি হে যদুনাথ, পথে দাঁড়িয়ে ডাব খাচ্ছিলে নাকি!
– কেন, স্যর !
– দেরি হল যে ! চার মাস, আমি এসেছি। এই প্রথম দেখলাম, যদুনাথ আসতে অহেতুক বিলম্ব করেছে ।
– কী বলব স্যর। সশস্ত্র পুলিশ আমাকে ধরেছিল ।
– সে কি! পায়ের কাছে বিড়াল মিঁউ ডাকলে যে ভয় পায়, সে পুলিসের জালে। একটু শুনি।
যদুনাথ সব খুলে বললে। রজত দাস শোনার পর বললে, তোমার বন্ধু ভাগ্য ভাল নয় যদুনাথ ।
রজত দাস বদলি হয়ে এই রেল পাড়ায় এসেছে চার মাস হল । তিন কামরার ট্রানসিট ফ্ল্যাট তার বাস স্থান। সে একাই থাকে। আগে যেখানে ছিল, পরিবার সেখানেই রয়ে গিয়েছে। দুই ছেলের বার্ষিক পরীক্ষা শেষ হবে । তারপর স্ত্রী পুত্রদের নিয়ে আসবে রজত।


সামনে রাস্তা। দু পাশে সারি বাধা ট্রানসিট ফ্ল্যাট। প্রত্যেকের বাগানে একটি করে পলাশ গাছ। বসন্ত কালে গাছে গাছে লাল ফুল । ওদিকে কৃষ্ণ চূড়া । আরো দূরে পাহাড়। পাহাড়ের পাড় ছুঁয়ে বহমান অনন্ত প্রাণ ব্রহ্মপুত্র । এখানে যারা আবাসিক, কেমন নীরব একাকী। রজত এখানে এসে টের পেল, মেলামেশার চল নেই। অফিস থেকে সরকারি গাড়ি আসবে। দাড়ি কামানো মসৃণ গাল, বায়ুভূক কপট গড়িমা দৃপ্ত গোটা কয়েক পদক্ষেপ সম্বল করে গাড়িতে চেপে বেরিয়ে যাবে। অফিস ছুটির পর ফিরবেও অনুরূপ ভঙ্গিমায়।
রজতের ঠিক উল্টো দিকের ফ্ল্যাটে আছে রেলওয়ে মেকানিকেল ডিপার্টমেন্টের আধিকারিক কল্লোল বসু। সকাল বেলা আর্ত চিৎকার শোনা গেল ওই ঘরের ভিতর থেকে, সাপ সাপ। স্বামী স্ত্রী দুজনের কন্ঠে বিপদ সংকেত । সেই শুনে রজত দরজা খুলে বারান্দায় এল। রাস্তা পেরিয়ে, গেট খুলে প্রতিবেশীর দরজা পর্যন্ত এগিয়ে যাবে কি ! রজত ভাবছে নিজের বারান্দায় দাঁড়িয়ে। আরো দুবার সাপ সাপ কলরব শুনে নিজের বাগানের গেট পর্যন্ত এগিয়ে থমকে গিয়েছে। সংকোচ তাকে এগোতে দেয়নি।

দেবে কি ! চার মাস হয়ে গেল – মুখোমুখি ফ্ল্যাট – একদিনও কেউ কারুর সংগে এক বর্ণ কথা বলেনি । আশ্চর্য , কেউ কারুর চোখের দিকে সরাসরি তাকালো না। কাছাকাছি থেকেও ভীষণ অচেনা যেন। আবার স্বামী স্ত্রী-র বিপদ সংকেত। নিকুচি করেছে অচেনার ভড়ং । জরুরী কালীন সময়ে দমকলের তীব্রতা রজত নিজেই আত্তীকরণ করল। সংকোচ এক ফুঁয়ে উড়িয়ে কল্লোল বসুর দরজার সামনে গিয়ে দাঁড়াল।

– মিঃ বসু! দরজা খুলুন। স্নেক বাইট হয়নি তো !
– কী সাংঘাতিক !
দরজা খুলে কল্লোল বেরিয়ে এল।
– আমি আপনাদের উল্টো দিকের ফ্ল্যাটে, মানে ফর্টিন – বি।
– আসুন মিঃ দাস। ওয়েলকাম ।
– আপনাদের চেঁচামেচি শুনে উদাসীন থাকা গেল না। এগিয়ে এলাম।
– এটাই ফ্রেটারনিটি।
– তো আপদ কোথায় ! সর্প রাজ! লম্বা লাঠি আছে কি ? ঠুকতে হবে মেঝেতে শব্দ করে।
– ভিতরে আসুন। বলছি।
বিস্তর খোঁজাখুঁজি হল । রজত পায়ের পদতল ঠুকল সিমেন্টের মেঝেতে । কল্লোল বসুর স্ত্রী দেবলীনা মুখে শব্দ করল, হুঁশ। দুবার। তিনবার। উঁহু। যাকে নিয়ে হুলুস্থুলুস সে নেই। গেল কোথায় সাপটা।
– এই তো বাথরুমের চৌকাঠে ছিল । ডাইনিং স্পেসে দাঁড়িয়ে দেবলীনা ভ্রু কপালে তুলে আরো বলল , তিন হাত লম্বা ।
– কুপকুচে কালো ! ফণা তুলেছিল ! রজত জানতে চাইল । দেবলীনার সঙ্গে তার প্রথম আলাপ।
– নাহ। ধুসর রঙ । দেখলেই গা শিউড়ে ওঠে। ইঃ বাব্বা। দেবলীনার পরনে লেহেঙ্গা, কুর্তি । কল্লোলের হাতে ফিনাইলের বোতল দেখে রজত বলল, কারবলিক অ্যাসিড আছে !
– একদম না। আমি কতবার বলেছি, এনে রাখতে। প্রতিবার ভুলে যায়। সাপ কি ভ্রমর যে ফুলে মধু না পেয়ে উড়ে গেল। দেবলীনার চোখে মুখে শঙ্কা প্রকাশিত।
কল্লোল বসুর হাতে সাদা ফিনাইলের বোতল, যেন ওটা আত্মরক্ষার মোক্ষম অস্ত্র । – আপদটা আমাদের ঠিক দেখছে। আমরা দেখতে পারছি না।
রজত হেসে ফেলল, মামলা ঝুলে রইল। এমন হতে পারে, জল বেরবার গর্ত দিয়ে বাইরে কেটে পড়েছে। নেকস্ট হিয়ারিং ডেট কবে ফেলবে, মালুম হবে পরে ।
– আমার কী হবে ! ও তো অফিস চলে যাবে। সেই সময় মূর্তিমান ঢুকে পড়লে, একা পেরে উঠব না আমি।
যেন দেবলীনার গলা কান্নায় বুজে এল ।

বোতলের ঢাকনা খুলে কল্লোল বাথরুমে সাদা ফিনাইল ছিটিয়ে অস্থির গলায় বলে ওঠে, ঠোঙা আসবে না।
– কে ঠোঙা ! রজতের সহজ প্রশ্ন শুনে খিলখিল হেসে উঠল দেবলীনা।
– গাড়ির ড্রাইভার ।
– আমি ভেবেছিলাম, সাপটার নাম।
– ওই একই হল। দুটোই যখন তখন বিপদ ঘটাতে পারে। কথাটা বলেই কল্লোল সেন্টার টেবিলের পাশে চেয়ার টেনে রজতকে অনুরোধ করল, বসুন। চা, না কফি খাবেন।
রজত বসল না । বরং বলল, আমি চা খেয়েই বেড়িয়েছি। ভিতর থেকে দেবলীনা খুব আন্তরিক গলায়, ঠিক আছে। আপনার হয়ে আমি বলছি, কফি। বসুন । ড্রাইভার কিন্তু জানে না, ওর নাম ঠোঙা।


এই প্রথম আলাপ, তবু দেবলীনা যে মাধুর্য ফুটিয়ে কথা বলে গেল, রজত প্রসন্ন । কফির আমন্ত্রণ ফিরিয়ে চলে যাওয়া ঠিক হবে না। সে বসল । মুখোমুখি কল্লোল ।
– মিঃ দাস, কথায় বলে না, বিপদ এলে দুপাশ থেকে আসে। আমার হাল এখন তাই।
– কী রকম শুনি। হাল্কা হাসি রজতের মুখে।
– অফিস থেকে গাড়ি আসছে না আজ এবং কাল। ড্রাইভার ছুটি নিয়েছে। জ্বরে কাবু।
– আমার গাড়িতে যাবেন। অসুবিধে হবে না।
দেবলীনা কফি আর বিস্কুট চানাচুর ভরা ট্রে টেবিলের উপর রাখল। – আপনার ফ্যমিলি আনবেন না, দাস সাহেব !
– আর দু মাস। ছেলেদের স্কুল এগজাম শেষ হলে নিয়ে আসব সবাইকে । চেষ্টা করছি, বাংলো নেবার। জুতসই পাচ্ছি না।
– আমরা আগামী মাসে শিফট করছি । নামঘরের পিছন দিকে পার্ক, তার কাছে।
মনে মনে তারিফ না করে পারল না রজত, বাড়তি আন্তরিকতা অক্ষুণ্ণ রেখে দেবলীনা কথা বলে গিয়েছে। অফিস যাবার জন্য তৈরি হতে হবে। রজত উঠে পড়ল। কল্লোলকে বলে এল, ফিল ফ্রি টু অ্যাকমপেনি মি। একসঙ্গে যাব । আসলে মিঃ ও মিসেস বসুর শিষ্টাচার রজতের ভাল লেগেছে।

যেমন হয়, রজতের গেটের কাছে গাড়ি এসে দাঁড়ায়। উঠে বসল রজত, হাতে অ্যটাচি কেস। ড্রাইভারকে বলল, দুবার হর্ণ দাও। অ্যাটাচি কেস নিয়ে কল্লোল বেরিয়ে এসে ডান পা বাড়িয়ে গাড়ির অন্দরে প্রবেশ করল।
– গুড মর্নিং।
– মর্নিং, মিঃ দাস।
– আজ প্রত্যুষে হাঁটাহাটির পর ফেরার পথে গাছ তলায় বাবুই পাখির বাসা পেলাম। কী কিউট। ছোট বেলার কথা মনে পড়ে গিয়েছিল।
– আপনি নিজে কুড়োলেন মাটি থেকে ? কল্লোল সরাসরি পাশ ফিরে রজতের মখের দিকে তাকাল।
– অফ কোর্স । মাটির পৃথিবী ধরিত্রি মা। ভুল বললাম কি।
– একদম না। খেটেখুটে পাঁচ পাতার নোট লিখলাম। জিএম ফাইল খুলে পড়ে এমন কিছু লিখলেন, তখন মনে মনে বলি, ছাই সব মাটি হয়ে গেল। বসুন্ধরা দ্বিখণ্ডিত হও, মা মা পাতালে গ্রহণ করো আমাকে ।

কল্লোল বসুর নাট্যকলা সুরভিত সংলাপ প্রক্ষেপণ মাতিয়ে দিল রজতকে। হা হা হা।

দ্বিতীয় দিন একবার হর্ণ দিয়েছিল ড্রাইভার। এক কিস্তিতে কাজ হল। অ্যাটাচি কেস কোলের উপর রেখে গুছিয়ে বসল কল্লোল। গাড়ির চলা শুরু হতেই কথার ফল্গু ধারা।
– এই যে সামনে বিশাল গাছ ডালপালা ছড়িয়ে ঝাড় লণ্ঠনের মত দাঁড়িয়ে আছে, মিঃ দাস !
– দেখতে পাচ্ছি, বলুন ।
– আমার কেন জানি মনে হত, একদিন ভোরবেলা একটি চিতাবাঘ ওখান থেকে লাফিয়ে নামবে কারুর ঘাড়ে।
– এই মেরেছে। আমার ঘাড়ে নয় তো! এই গাছ তলা দিয়ে প্রাতঃভ্রমণে চলাচল আমার।
– আমি বলেছি, মনে হত। এখন কল্পনার অবকাশ নেই। সেই চিতা ধরা পড়েছে। লোকালয়ে হানা দেবার শখ ছিল তার।
– যাক বাঁচলুম। এখন তো আবার ভিডিও কনফারেন্সের যুগ। বড় সাহেব প্রায় হানা দিচ্ছেন ডিজিটাল পর্দায়।
– কী ! ঘাড় মটকাবে বলে !
– হয় ঘাড়, নয় ঝাড়। ঝটকা একটি থাকে। রজতের কৌতুক ।
– সেদিন একটি নোট লিখে ফাইল পাঠালাম – ডিজেল ফুয়েলের অপচয় কী ভাবে কমানো যায়। ডেপুটি চিফ ডেকে বললেন, পল্টন কাম সে চলতা হ্যায়, কানুন সে নেহি। ইঞ্জিন ফুয়েলসে চলতা হ্যায়, বাঁহারো কলমসে নেহি। কেন ঝুটমুট উপরওয়ালার কাছে খারাপ হতে যাবেন ! প্ল্যাটফর্ম ওপেন রাখুন। ইঞ্জিন ঢুকবে। ফাইল ক্লোজ করুন । তোফা মিলবে।

নাট্যরঙ্গ মুখর কল্লোল বসুর কথার ভঙ্গিতে রজত মোহিত। হা হা হা।

পরদিন সকালবেলা সাতটা ছয় মিনিটে ঝটকা। জোর কাঁপুনি, ভূকম্প। ছিটকিনি খুলে সবাই বেরিয়ে এসেছে। রাস্তার দু পাশে সারিবদ্ধ ফ্ল্যাটগুলোর বাগান ঘেরা জায়গায় যে যার ভঙ্গিতে । কারুর মুখে শব্দ নেই। যেন বোবাদের পাড়া। তবলা-ঠোকা হাতুড়ি যেন প্রত্যেকের মুখে কুলুপ সেঁটে দিয়েছে। মুখোমুখি বাড়ির মিঃ ও মিসেস বসু বাগানে । রজত ভেবেছিল, কথা বলবে ভূমিকম্পের প্রাবল্য নিয়ে, আর একটু স্থায়ী হলে কী পরিমাণ বিপর্যয় হতে পারত তাই নিয়ে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের মুখে মানুষ ভয় পেয়ে শিশুর মত কাঁদে, তাই নিয়ে। কিন্ত একটি কথাও বলতে পারল না রজত।

খোলা ছাতার আড়াল টেনে দুজন মুখ ঢেকেছে । দৃশ্য অভাবনীয় । বাগানের খোলা পরিবেশে বসু দম্পতির শরীর দেখা যাচ্ছে, মাথা-মুন্ডু-মুখ ছাড়া । ওইটুকু রজতের দৃষ্টি কোণ থেকে দেখা গেল না। খোলা ছাতার গুণ। অথচ গত দুই দিন কী অমায়িক গল্পে বসু পরিবার ভুলিয়ে দিয়েছিল অপরিচিতের ব্যবধান । আজ আবার আট মিটার দূর থেকে দূরত্ব রচনার প্রয়াস । প্রয়াস, না কারসাজি !

অফিসের গাড়িতে আজ একা রজত। মালিগাঁও স্টেডিয়ামের পাশে কল্লোল বসুর গাড়ি রজতকে অতিক্রম করে এগিয়ে গেল । বেলা এগারোটার সময় যদুনাথকে ডেকে পাঠাল সিনিয়র পার্সোনাল অফিসার রজত দাস।
– যদুনাথ, সেদিন তোমার ঘটনা শুনে কী বলেছিলাম ! মনে আছে !
যদুনাথ চিন্তায় পড়ে গেল। তার সম্যক কথাটা মনে নেই ।
– এই রে ! তীব্র দহনে চারা গাছ নেতিয়ে পড়ল। সেদিন বলেছিলাম, তোমার বন্ধু ভাগ্য ভাল নয় । আমি একটা ঘটনা বলছি । শোনার পর, নিঃসঙ্কোচে তোমার অভিমত জানাবে। ঠিক আছে !

আদি – অন্ত শুনল যদুনাথ । ঘাড় চুলকে বলল, ঠোঙা ।
– এবার খোলতাই কর। ঘূর্ণি চেয়ারে মাথা এলিয়ে দিল রজত ।
যদুনাথ বলে যায় ।

বসু পরিবারের বাড়িতে সেদিন সাপ ঢোকেনি। ড্রাইভার ঠোঙা দুদিন ছুটি নিয়েছে বলে অফিস যাবার গাড়ি অমিল। এরকম ঝামেলা থেকে উদ্ধার পেতে ওরা উপায় খুঁজল । সাপ বাপকে ছাড়ে না। প্রতিবেশীকেও ছাড়বে না। তাই ছক কষে চিৎকার করেছে, সাপ সাপ । আপনি না গেলেও আরেক জন যেত। যেতেই আলাপচারিতার ফাঁকে মিছিমিছি সাপ উধাও, সুগন্ধ কফি পান এবং দুদিন প্রতিবেশীর গাড়িতে অফিস যাওয়ার চুক্তি সম্পাদন । চুক্তির মেয়াদ পেরিয়ে গেছে, মিঃ এবং মিসেস বসু আবার অচেনা ভিনদেশী ।
স্যর, তাই বলেছিলাম , ঠোঙা । দরকার মিটে যাবার পর ফাঁকা ঠোঙা ফুঁ দিয়ে হাওয়া ভরে ছকবাজরা এভাবেই ফাটায়, ফটাস।

 

* * গল্পটি যুগশঙ্খ দৈনিক পত্রিকায় বেরিয়েছিল  ২০২০ সালে ৯ই আগস্ট

শেয়ার করতে:

You cannot copy content of this page