গুচ্ছ কবিতা।। ওয়াহিদ রুকোন

অচিন মাঝি

আমি যে একটি তরী

জলে ভেসে যাচ্ছি

তুমি হাওয়া-তরীর দ্বন্দ্বে

ভয়ে-অভয়ে বুঝতে পারি না

ভাসছি- জলে কি স্থলে?

আর একখান বৈঠার হাতল আসমানে

পায়ের তলে অনাগত কাঁপন- কাঁপছি ডুবছি

তোমাতে আমার খোলস ডাঙায়-রাঙাই

এ জনম ঘোমটি দেয়া ছায়াজলে

তরী আর তরী দেখি…

তবু এ-তরীর এ-জনারে চিনতে নারি!

মিছিলের স্বপ্ন

একেকটা মিছিলের মধ্যে ঢুকতেছে

একেক জন একই

বহু বহুই এক যেমন

কজন মাত্র উচা গলায়

অজানা জনের কথা কয়

আমি বা বহু বাড়িতে পড়ে রই

সবাই যায় না তবু

কেউ কেউ না যেয়ে পারে না

ভাটির কজন কামলা যেমন

উজানি হাওরে অনেকের রিজিকের ভিতর

কাঁচি হাতে ঢুকে যেন সকলের ভিতরেই

কজনের উত্তেজনা নিজেই শেষ কথা নয়

তাই অপরের কথায় ঢুকি আর

আমাকে পড়ার টেবিলে রেখে

যারা ঐতিহাসিক মিছিলে ঢুকে গেছে

তাদের খবর জেনে আমাদের প্রজন্ম ঢুকে যায়

মিছিলের স্বপ্নে ।

আয় তবে সহচরি

মধ্যরাতে শুরু হতে চায়

দুই ঘন্টার একটি সিনেমা

আমি তারে এক ঘন্টায়

টেনে আনতে চাই

তো তুমি তা চাও না-

না চেয়েই কাট করলে দৃশ্য কুশিলব

দুজনে লুকিয়ে গেলাম

রাত্রির দুইভাগে এক্ষণে জোছনাগায়ে

কারা আর আড়ালে যাবে গো!

তাই অদৃশ্য ময়লা মেখেই কাটলো

দীর্ঘ-অন্য-দিন

আমার খালি দড়ফড়-দড়ফড় করলো

রাত নাই দিন মনে হইতে লাগলো…

দিনান্তর… আবার দেহচড়ে নামাতে গেলে

আন্ধ্যার বয়েসন্ধ দৃশ্য-সঞ্চালনে

তোমারে ডাকি- আয় তবে সহচরি,

তবে আয় নাড়াচাড়া করি গো ।

শেয়ার করতে:

You cannot copy content of this page