snoring

নাক ডাকছেন? ঘরোয়া টোটকায় মিলবে সমাধান

তৃতীয়পক্ষ ওয়েব- নাক ডাকা মাঝে মধ্যেই বিড়ম্বনায় ফেলে দেয় আপনাকে? কি করবেন বুঝে উঠতে পারেন না। তাহলে কয়েকটি টিপস রইল আপনাদের জন্য।

তবে নাক ডাকার সঙ্গে হার্টের স্বাস্থ্যের গভীর সম্পর্ক রয়েছে। দীর্ঘ দিন ধরে নাক ডাকার সমস্যা থাকলে হার্টের লেফট এবং রাইট ভেন্ট্রিকুলার এত মাত্রায় ক্ষতি হয় যে নানাবিধ হার্টের রোগ মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার আশঙ্কা যায় বেড়ে।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে, হার্টকে বাঁচাতে নাক ডাকা বন্ধ করা যায় কীভাবে? উপায় আছে। আসলে এমন কিছু ঘরোয়া চিকিৎসা রয়েছে, যা খুব অল্প সময়েই নাক ডাকার সমস্যা কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

নাক ডাকা রোধে ঘরোয়া টোটকা
পুদিনা: কয়েকটি পুদিনাপাতাকে ঈষদুষ্ণ জলে মিশিয়ে গার্গল করুন। এতে দেখবেন সমস্যা কমছে। প্রথমে জলে পুদিনপাতা ফেলে গরম করুন। এরপর সেই জল ঠান্ডা হতে দিন। হালকা ঠান্ডা হয়ে এলে গার্গল করুন।

দারচিনি: দারচিনির গুণ অনেকেই জানেন। রোজ একগ্লাস ঈষদুষ্ণ জলে দারচিনির গুঁড়ো মিশিয়ে নিন। এরপর সেই জল দিয়ে করুন গার্গল।

রসুন: রসুন শরীর ভালো রাখার ক্ষেত্রে বিশেষভাবে কার্যকরী। এক্ষেত্রে ঈষদুষ্ণ জলে মিশিয়ে নিন রসুন। তারপর সেই জল দিয়ে গার্গল করুন। দেখবেন ভালো রয়েছেন।


ক্যামোমাইল চা: এক কাপ জলে ১ চামচ ক্যামোমাইল ফুলের গুঁড়ো ফেলে জলটা ১০ মিনিট ফুটিয়ে নিতে হবে প্রথমে। তারপর ছেঁকে নিয়ে সেই জল পান করতে হবে। এভাবে প্রতিদিন ক্যামোমাইল চা খাওয়া শুরু করলে শরীরে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদানের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করবে, যার প্রভাবে নাক ডাকার প্রবণতা তো কমবেই, সেই সঙ্গে কোনও ধরনের অ্যালার্জির প্রকোপ কমতেও দেখবেন সময় লাগবে না।

অলিভ অয়েলঃ ঘুমানোর কিছুক্ষণ আগে মাত্র এক ফোঁটা করে অলিভ তেল নাকে দিন। দেখবেন নাক ডাকার সমস্যা কমছে। এক্ষেত্রে অলিভ অয়েল নাকের ভিতরের অংশ পরিষ্কার করে দেয়।

ঘি: ঘি সামান্য গরম করুন। সহনযোগ্য অবস্থায় এলে সামান্য ঘি দুই নাকে দিন। দেখবেন কিছুদিনের মধ্যেই ফল পাচ্ছেন।

হলুদ: হলুদ নাকের ভেতর পরিষ্কার করতে পারে। গরম দুধের সঙ্গে হলুদ মিশিয়ে খান। দেখবেন সমস্যা মিটছে।

মেথি: অনেক সময় নানাবিধ পেটের রোগের কারণেও কিন্তু নাক ডাকার মতো সমস্যা মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে পারে। তাই নাক ডাকা বন্ধ করতে পেটের দিকে খেয়াল রাখারও প্রয়োজন রয়েছে। আর ঠিক এই কারণে প্রতিদিন মেথি খাওয়া জরুরি। এই প্রাকৃতিক উপাদানটি খাওয়া শুরু করলে গ্যাস-অম্বলের প্রকোপ তো কমেই। সেই সঙ্গে হজম ক্ষমতারও উন্নতি ঘটে চোখে পরার মতো। ফলে নাক ডাকার সমস্যা কমতে সময় লাগবে না। প্রসঙ্গত, এ ক্ষেত্রে পরিমাণ মতো মেথি বীজ নিয়ে আধ ঘণ্টা জলে ভিজিয়ে রাখতে হবে। ঘুমনোর আগে পান করে শুয়ে পরতে হবে। নিয়মিত করলে দেখবেন শরীর চাঙ্গা হয়ে উঠতে সময় লাগবে না।

আদা চা: নিয়মিত আদা চা খাওয়া শুরু করলে দেহের ভিতরে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদানের মাত্রা বাড়তে শুরু করে, যার প্রভাবে ন্যাজাল ক্যাভিটি খুলতে শুরু করে। ফলে নাক ডাকার প্রকোপ কমতে সময় লাগে না।

স্টিম: অনেক সময় সর্দি-কাশির কারণেও নাক দিয়ে বায়ু চলাচল ঠিক মতো হতে পারে। যার ফলে ঘুমনোর সময় নাক দিয়ে আওয়াজ বেরোতে শুরু করে। কিছু সময় অন্তর অন্তর গরম ভাব নিলে দারুণ উপকার পাওয়া যায়। তাই এবার থেকে সর্দি-কাশি হলেই এই ঘরোয়া পদ্ধতিটির সাহায্য নেবেন। দেখবেন ঘুমনোর সময় কোনও সমস্যাই হবে না।

 

শেয়ার করতে:

You cannot copy content of this page