ভারতের নির্বাচন কমিশনের কথা
পিনাকী চৌধুরী।। ইতিমধ্যেই গুজরাটের ১৮২ আসন বিশিষ্ট বিধানসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ১ ডিসেম্বর প্রথম দফা এবং ৫ ডিসেম্বর দ্বিতীয় দফায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে সেখানে। আর বছর ঘুরলেই ‘২৩ সালের ফেব্রুয়ারি অথবা এপ্রিল মাসে আমাদের পশ্চিমবঙ্গে ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তাই এখন ঘটনাস্থলের উত্তেজনা থেকে পাড়ার রকের সমালোচনা, সবেতেই নির্বাচন নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ চলছে! এবার আসি স্বাধীন ভারতের নির্বাচন কমিশনের কথায়। ১৯৫০ সালের ২৫ জানুয়ারি ভারতের নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়। তদানীন্তন সময়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার সুকুমার সেনের নেতৃত্বে ১৯৫২ এবং ১৯৫৭ সালে দু’টো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। বাস্তবে স্বাধীন ভারতে যেন এক নতুন অধ্যায় শুরু হল । সময় থেমে থাকেনি। তারপর বয়ে গেছে অনেক জল। অনেক উত্থান পতন, রাজনৈতিক পালাবদল ঘটেছে ভারতে ।
১৯৯০ সালে রীতিমতো আইন প্রণয়ন করে তিন সদস্যের নির্বাচন কমিশন গড়বার প্রক্রিয়া শুরু হয়। তখন দায়িত্বপ্রাপ্ত মুখ্য নির্বাচন কমিশনার ছিলেন আর ভি এস পেরি শাস্ত্রী। বস্তুতঃ তাঁর আমলেই ভোটদানের নূন্যতম বয়স কমিয়ে ১৮ করা হয়। শাস্ত্রীর পরে প্রথম নারী প্রধান নির্বাচন কমিশনার হয়েছিলেন ভি এস রামাদেবী। এখানে বলে রাখা ভাল, ১৯৯০ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত যেন আক্ষরিক অর্থেই ভারতের নির্বাচন কমিশনের স্বর্ণযুগ! ওই সময়কালে টি এন সেশনের নেতৃত্বে ভারতের নির্বাচন কমিশনের এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধিত হয়। তামিলনাড়ুর সেই সাবেক প্রসাশনিক ক্যাডারকে অনেকেই ‘ চেঞ্জমেকার ‘ আখ্যা দিয়ে থাকেন। ক্রমে ক্রমে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা এল। টি এন সেশনের হাত ধরেই ভারতে প্রথমবারের মতো সচিত্র ভোটার কার্ডের সূচনা হয়েছিল। বস্তুতঃ তার আগে কিন্তু বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচন প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করতো । ২০০১ সালে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন জে এম লিংডো । তারপর ২০১০ সালে ভারতের প্রথম সংখ্যালঘু নির্বাচন কমিশনার হয়েছিলেন এস ওয়াই কুরেশি ।