It’s পপকর্ন Time
তৃতীয়পক্ষ ওয়েব- সিনেমা হল মানেই তার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছে পপকর্ন। অনেকের কাছে আবার পপকর্ন ছাড়া যেন সিনেমা ঠিক জমে না। অনেকে আবার বাড়িতে বানানো পপকর্নের থেকে সিনেমা হলের কাছে পাওয়া পপকর্ন খেতে একটু বেশি পছন্দ করেন। আবার অনেকে আছেন, এই পপকর্নের টানে ছুটে যান সিনেমা হলের সামনে। প্রতিবছর এই পপকর্ন প্রেমীদের জন্যই আসে ১৯ শে জানুয়ারি ন্যাশনাল পপকর্ন ডে বা পপকর্ন দিবস।
এই দিবস উপলক্ষে কানাডায় দেওয়া হচ্ছে এক বিশেষ অফার, যা শুধুমাত্র সিনেমাপ্রেমীদের পাবেন। পপকর্ন দিবসের সিনেমাপ্রেমীদের জন্য সিনেমা হলে পপকর্ন একেবারেই বিনামূল্যে। আর এ ভাবেই পালন করা হবে পপকর্ন ডে।
পপকর্নের ইতিহাস
আসলে পপকর্ন অতীতে হাত দিয়ে পপ করা হত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ননপারেল বা মুক্তা নামে বিক্রি করা হত। ১৯ শতকের সময়ে পপকর্ন খুবই সস্তা ছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়, যখন চিনি জাতীয় দ্রব্যের আকাল দেখা যায় তখন আমেরিকায় পপকর্নের ব্যবহার তিন গুণ বেড়ে যায়। তারপর থেকে সেই জনপ্রিয়তা ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পেলেও মানুষের মনে কখনো অপছন্দের জায়গা হয়ে ওঠেনি।
আপনার প্রিয় এবং মিষ্টি ক্যারামেল পপকর্ন খুব একটা সম্প্রতি সময়ের নয়। এটি ১৮৯৩ সালে বিশ্ব প্রদর্শনী মেলায় প্রথম প্রদর্শিত হয়েছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ সাধারণ জনগণের জীবনে পপকর্নের ভূমিকাকে বিপ্লবী করে তুলেছিল । ক্যারামেল পপকর্নের প্রবর্তন আপাতদৃষ্টিতে সাধারণ মানুষের কাছে হয়ে উঠেছিল এক আসক্তিজনক খাবার। তারপর থেকে, পপকর্ন অনেক বিবর্তন এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষার মধ্য দিয়ে গেছে, যার সবকটিই উচ্চ আয়কারী এবং লাভজনক ব্যবসার উত্থানে অবদান রেখেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং জার্মানির বিভিন্ন ঐতিহ্যগত ইতিহাসের সাথে পপকর্ন জড়িয়ে আছে। একদিকে জার্মানের মিষ্টি পপকর্ন অপরদিকে মার্কিন ইতিহাসের নোনতা পপকর্ন বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য ছিল।