আকর্ষণের বিন্দুতে ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’, খরচ ১৫ হাজার কোটি টাকারও বেশি
তৃতীয়পক্ষ ওয়েব- ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’ এবার দুয়ারে সরকারের আকর্ষণের কেন্দ্রে। সেই লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প বাস্তবায়ন করার জন্য সরকারের কোষাগার থেকে প্রচুর পরিমাণ টাকা খরচ হতে চলেছে। তথ্য সূত্রে খবর বছরে ১৫ হাজার কোটি টাকারও বেশি খরচ হবে এই প্রকল্পের জন্য। সেই খরচ ১৫ হাজার কোটি বছরে ছাড়িয়ে যেতে পারে বলেও মনে করছে অর্থ দফতরের আধিকারিকরা।
প্রথমত ২ কোটি মহিলা লক্ষ্মীর ভান্ডারের মাধ্যমে এই সুবিধা পাবে তা ধরে নিয়েই এগোচ্ছে রাজ্য সরকার। তবে লক্ষ্মীর ভান্ডারের আবেদনপত্র জমা পড়ার সংখ্যা ইতিমধ্যেই ২ কোটির কাছাকাছি। সেক্ষেত্রে এই অর্থের পরিমাণ আরও বেড়ে যেতে পারে বলে মনে করছে রাজ্য অর্থ দফতর।
দুয়ারে সরকারের ক্যাম্পগুলোতে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের জন্য এখন সবথেকে বেশি ভিড়। দুয়ারে সরকারের ক্যাম্পের আগের আকর্ষণ ছিল স্বাস্থ্য সাথী কার্ড। তবে এবারের ভিড় দেখার মতো। তার কারণ হল একটাই- লক্ষ্মীর ভান্ডার।
প্রসঙ্গত অনেকেই বলেন, একুশের ভোটে অর্ধেক আকাশেই লুকিয়ে ছিল মমতার এই চাবিকাঠি। তাই এবার ভোটের পর মা বোনেদের জন্য দরাজহস্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। কার্যত শুরু থেকেই সুপারহিট এই লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প।
তথ্যসূত্রে খবর লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের জন্য রাজ্যের কোষাগার থেকে বছরে ১৫ হাজার কোটি টাকারও বেশি খরচ হতে পারে। সে ক্ষেত্রে রাজ্যের কোষাগার থেকে প্রত্যেক মাসে ১৩০০ থেকে ১৪০০ কোটি টাকা খরচ হওয়ার সম্ভাবনা।প্রতি মাসে যদি দু’কোটি মহিলা এই সুবিধা পান তাহলেই রাজ্যের কোষাগার থেকে এই খরচ হবে বলেই মনে করছে রাজ্য অর্থ দফতরের আধিকারিকরা। যদিও সেই অর্থের সংস্থানের জন্য ইতিমধ্যেই নারী ও শিশু কল্যাণ এবং সমাজ কল্যাণ দফতরের জন্য বাজেটে ধরা রয়েছে।
এই রাজ্যে মহিলা ভোটার প্রায় ৪৯ শতাংশ৷ সংখ্যার আকারে ৩ কোটি ৫৬ লক্ষ ৯০ হাজার ৩৭। তার মধ্যে ভোট দিয়েছেন ২ কোটি ৯১ লাখ ৭৫ হাজার ২৮৮ জন। বিধানসভা ভোটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মহিলাদের অধিকাংশের সমর্থন ছিল বেশি। তবে আরও একবার তিনি কথা রাখছেন। মহিলাদের জন্যই এসেছে লক্ষ্মীর ভান্ডার। যা এইমুহুর্তে আলোচনার তুঙ্গে।