নতুন বছরে নেগেটিভ মানুষদের বলুন ‘NO’ !

তৃতীয়পক্ষ ওয়েব- এখন এই কোভিড পজিটিভ কথাটা শুনতে শুনতে সবারই কেমন একটা আতঙ্ক এসে গিয়েছে। তবে সেই আতঙ্কের থেকেও মনকে পজিটিভ রাখাটা জরুরি। সেখানেই সকল শরীর খারাপের আঁতুড় ঘর। আর যে কারণে প্রয়োজন নেগেটিভ মানুষদের থেকে দূরে থাকা। রইল তারই কিছু টিপস-

  • যিনি নেগেটিভ তিনি আর যাই হোন না কেন ছোট শিশুটি নন। সুতরাং তার যাই সমস্যা হোক না কেন, সেটা বোঝার জন্য তার নিজের পরিবার ও বন্ধুরা আছে। কবিতাতেই আছে ‘তোমার উপরে নাই ভুবনের ভার’। ঠিকই তো। এরকম কত মানুষের সমস্যা আপনি সমাধান করবেন? তার চেয়েও বড় কথা হল অনেকক্ষণ নেগেটিভ মানুষদের সঙ্গে থাকলে বা তাদের কথা ভাবলে কিছুটা প্রভাব আপনার উপরেও পড়বে। আপনারও মনে হবে আপনি পারবেন না, পারছেন না ইত্যাদি। এই না না থেকেই নেগেটিভিটির জন্ম হয়। সুতরাং অফিস থেকে বেরলেই বা ফোন রাখার পর এসব হাবিজাবি কথা নিয়ে বেশিক্ষণ ভাববেন না।
  • কিছু কিছু মানুষ এই দুনিয়ায় থাকেন যারা এরকমই হন। তাদের কাজই হয় নানা বিষয় নিয়ে ঘ্যানঘ্যান করে মানুষকে বিরক্ত করা। আপনার প্রথম কাজ হবে এই জাতীয় মানুষদের বোঝা এবং তাদের থেকে দূরে থাকা। ভুলেও কখনও যেচে তাদের ভালো করতে যাবেন না বা জ্ঞান দিতে যাবেন না। এতে হিতে বিপরীত হবে। তিনি আপনার উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়বেন এবং ছোটখাটো ব্যাপারেও আপনাকে বিরক্ত করবেন।নয়তো ভাববেন আপনি এই পরিস্থিতিতে মজা পাচ্ছেন এবং লেকচার দিচ্ছেন।
  • নেগেটিভ মানুষদের এড়িয়ে চলা সম্ভব নয়। বিশেষ করে বাড়িতে বা অফিসে, যেখানে সে প্রায়ই চোখের সামনে ঘুরঘুর করে সেখানে তো নয়ই। আবার তাদেরকে কোনও ভাবে সন্তুষ্ট করাও সম্ভব নয়। কারণ আপনার কোনও পরামর্শ সে নেবে না। বরং তিনি যা বলছেন শুনে যান। তাকে বলুন তিনি সমাধান দেওয়ার চেষ্টা করবেন।
  • নেগেটিভিটি যখন সীমা ছাড়িয়ে চলে যাচ্ছে। আপনার সহকর্মী বা বন্ধু আত্ম্যহত্যা করার কথা বলছেন। এরকম পরিস্থিতি হলে একদম চুপ করে বসে থাকবেন না। প্রথমেই বিষয়টি ব্যক্তির বাড়ির লোক ও কাছের মানুষদের জানান। তিনি যদি সব কথা আপনাকে ভরসা করে বলে থাকেন তাহলে সেটার মর্যাদা দিন। বন্ধুকে বুঝিয়ে মনোরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে নিয়ে যান। তাঁকে নানা উদাহরণ দিয়ে বোঝান এই জীবন কতটা দামী। সেটা শেষ করে দেওয়ার কোনও প্রশ্নই ওঠেনা।

 

শেয়ার করতে:

You cannot copy content of this page