পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে অপসারণ করা হলো মন্ত্রিত্ব থেকে
তৃতীয়পক্ষ ওয়েব- অবশেষে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে মন্ত্রিত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হল। পরিষদীয়, শিল্প-বাণিজ্য-তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রিত্ব-হারা হলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ঘরে এবং বাইরে চাপের মুখে পড়ে শেষপর্যন্ত অপসারিত করা হলো পার্থকে।
তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের ট্যুইট করেন এদিন, ‘অবিলম্বে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে মন্ত্রিত্ব ও দলের সমস্ত পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া উচিত। তাঁকে বহিষ্কার করা উচিত। যদি আমার এই বক্তব্য ভুল হয়, তাহলে দলের পূর্ণ অধিকার রয়েছে, আমাকে দলের সমস্ত পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার’। ‘আমি সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের একজন সৈনিক হিসেবে থাকব’। পরে ট্যুইটটি সরিয়ে নেন কুণাল।
একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগেই মন্ত্রিত্ব গেল! এবার কি তৃণমূলের মহাসচিব পদ থেকেও সরানো হবে পার্থকে? যতদিন না তদন্ত শেষ হয়, ততদিন পার্থর দফতর থাকবে মুখ্যমন্ত্রীর হাতেই। একথা জানিয়েছেন তিনি নিজেই। একের পর এক তৃণমূল নেতা সরব হওয়ার পরেই অপসারিত হলেন পার্থ।
প্রসঙ্গত, বুধবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রচুর সোনা। যার ওজন প্রায় ৬ কেজি। বাজারমূল্য ৪ কোটি ৩১ লক্ষ টাকা। বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাট থেকে মিলেছে ১ কেজি ওজনের ৩টি সোনার বাট ও ৬টি সোনার কঙ্কন। একেকটির ওজনই ৫০০ গ্রাম। এছাড়াও, প্রচুর সোনার গয়না ও একটি সোনার কলমও অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে বলে দাবি করছেন ইডি। এছাড়া, বাজেয়াপ্ত হওয়া ২৭ কোটি ৯০ লক্ষ টাকার মধ্যে ২ হাজারের নোটে ৫০ লক্ষ টাকার বাণ্ডিল এবং ৫০০-র নোটে ২০ লক্ষের বাণ্ডিল উদ্ধার হয়েছে। বর্তমানে যা স্ট্র্যান্ড রোডে স্টেট ব্যাঙ্কের সদর দফতরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।