শতানীক রায়ের কবিতা ।। কাকজ্যোৎস্না আর কবিতার নিঃসঙ্গতা
১
স্বপ্নের ভেতরে সারস ঘোরাফেরা করে। তুমি দেখেছ সেই মেঘ। জল হয়ে যায়। ছোটো ছোটো দাগের মধ্যে পথ করে নিই। পথের মধ্যেও ছোটো ছোটো দাগ। কখন যে জল হিসেবে লক্ষ করি। আয়নার সংযোগবিহীনতা। শরীরের জন্য শরীর। ক্ষয় হয়। আকাশের দিকে খুব উঁচু তাকিয়ে থাকা। কোন শরীর এক। অক্ষরের সন্ধান। চাঁদ দেখা রাত। বেড়ালের ধারণা ছিল মাছের সঙ্গে সমগ্রতা জড়ানো। আরও বেশি এভাবে দেখি। থমকে গিয়ে। আবার দেখি।
২
রং আর জ্যোৎস্না এক নয়। পৃথিবীর সবচেয়ে গভীর যে-গান। অনুসন্ধান আর অনুসরণের বিস্তর রাখা আছে। শব্দ যখন খাপ খায় না শব্দের অপরের সঙ্গে। স্থির দাঁড়িয়ে দেখা আকাশ। হঠাৎ লক্ষ করা রাত ম্লান উজ্জ্বল হয়। যে-সজ্জা কখনো কারো হয়নি। মেঘের অন্যত্র নেই ছড়িয়ে যেথা-সেথা। কোন সে পথিক প্রাচীন এক পশুর মতো জল পান করে। জলেরই বোধে ডোবে।
৩
লম্বা একটা প্রকাণ্ড পুস্তকের ভেতর সেই থেকে আছি। কেউ ছিল কি ছিল না এরকম তৃষ্ণা জাগরণ ঘটে গেছে। অনেক। অপরিহার্য সব। ব্যথা হয়ে ওঠে। চাঁদ অর্ধেক হয়েছিল। সেই থেকে মানুষেরা আস্তে আস্তে সরু পথ করে হেঁটেছিল দূরে। সেদিকে টানা তাকানোর চেষ্টা দেখার অনেকটা সুযোগ করে দেয়।
৪
সব বক্তব্যই অর্থহীন। এখানেই কোথাও খোল বদলে ফ্যালে কবিতা। অনেক পাহাড় যেভাবে একইরকম থাকে। আমার পা ঝুলিয়ে থাকার মধ্যে আলতো হওয়া। এর ঊর্ধ্বে কি বিষ রাখা আছে। উদ্ধারে শেষাবধি যার মাথার হাড় পড়ে থাকে।
৫
সেই থেকে মানুষেরা উঁচু হয়েছে। কখনো উট হয়ে কেঁদেছে। সেখানে কেউ গাছের উপর বসে নজর রেখেছে। শহরে কত মৃত্যু হল। আর হয়ে চলেছে যে-সব অবশেষ। কে কোথায় কার অনুবাদ করল। কারই-বা দেহ অযথা তরঙ্গ হয়ে উঠল। হিসেবের বোঝার মতো শরীরও বাহিত হল তাই। এতদিন—