অবশেষে অবসর দাদা’র
তৃতীয়পক্ষ ওয়েব- অবশেষে বোর্ড সভাপতি পদ থেকে সরে দাঁড়াতে হলো সৌরভ গঙ্গ্যোপাধ্যায়কে। এদিন বৃহস্পতিবার এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গঙ্গ্যোপাধ্যায়। বিভিন্ন কথার ভেতর তার মুখে শোনা গেল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নাম।
ক্রিকেট জগতে লর্ডসে অভিষেক হয় সৌরভের। সেদিনের সেই ম্যাচের কথা বলতে গিয়ে বললেন, ‘লর্ডসে অভিষেক ম্যাচ খেলতে নেমে মাথায় শুধু ছিল নিজের সেরাটা উজার করে দিতে হবে। নিজের মতো খেলতে চেষ্টা করেছিলাম সেদিন। আমার লক্ষ্য ছিল ১০ রান করা। সেখান থেকে আরও ১০ রান। এই ভাবেই ইনিংস গড়েছিলাম’।
নিজের জীবনের ক্ষেত্রেও সৌরভ একটি একটি করে পদক্ষেপ করতে পছন্দ করেন। দীর্ঘ পথ এগিয়ে যাওয়ার জন্য এরকমই তাঁর লক্ষ্য থাকে বলে জানিয়েছেন ‘মহারাজ’। তিনি বলেন, ‘ছোট ছোট লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে ছিলাম। লম্বা যাত্রায় সফল হতে গেলে ছোট ছোট পদক্ষেপ করে এগিয়ে যেতে হয়। শুরুতেই এক লাফে সাফল্যের দোরগোড়ায় পৌঁছে যেতে চাইলে সেটি সম্ভব হয় না। হতে পারে না। এক দিনে কেউ শচিন তেন্ডুলকর হয় না। বা একদিনে নরেন্দ্র মোদী হয় না’।
সৌরভ আরও বলেন, কীভাবে একজন মানুষ সফল হতে পারেন, ‘সবাই শেষটাই দেখে। কিন্তু বোঝার চেষ্টা করে না যে আমাদের সবাইকে একদম শূন্য থেকে শুরু করতে হয়। প্রশাসক হিসেবে হয়তো আমার এখানেই ইতি। এরপর হয়তো নতুন ভূমিকায় দেখা যাবে। সেখানেও আমাকে শূন্য থেকে শুরু করতে হবে’।
একসময় অধিনায়ক হিসাবে শক্ত হাতে সামলেছেন কঠিন সময়, সে কথাই উল্লেখ করেছেন সৌরভ। বলেছেন যে, ‘আমি এমন একটা দলকে নেতৃত্ব দিয়েছি যেখানে সবাই অধিনায়ক হতে পারত। যেমন শচিন, রাহুল, ভিভিএস। কিন্তু আমাকেই অধিনায়ক নির্বাচিত করা হয়, যাতে আমি ওদের নেতা বানাতে পারি, আবার সঠিক পথে চালনাও করতে পারি। রাহুলকে দল থেকে বাদ দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল একবার।কিন্তু আমি তখন ওর পাশে দাঁড়িয়েছিলাম’।
সৌরভ যে আর বোর্ড সভাপতি থাকবেন না, এ কথা নিশ্চিত হওয়ার পর।রবি শাস্ত্রী উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। সৌরভ সভাপতি থাকাকালীন শাস্ত্রীর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক একাধিক বার তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। সৌরভ যখন বোর্ড সভাপতি হন, তখন কোচ ছিলেন শাস্ত্রী। তাই দু’জনের দ্বন্দ্ব কারওরই নজর এড়ায়নি। কোচ হিসেবে শাস্ত্রীর রেকর্ড ভাল হলেও, তাঁকে সরিয়ে রাহুল দ্রাবিড়কে কোচ করা হয় মূলত সৌরভের ইচ্ছেতেই। দু’জনেই প্রকাশ্যে নাম না করে একে অপরকে খোঁচা দিয়েছেন অনেকবার। শাস্ত্রীর কথায়, ‘রজারের নাম এসেছে এবং আমি আনন্দিত। বিশ্বকাপে তিনি আমার সহকর্মী ছিলেন’।