অনন্যা পালের ‘সুবর্ণভূমে পুষ্পকেতু’ উপন্যাস থেকে অন্য এক দীর্ঘ যাত্রার উদ্দেশ্যে
তৃতীয়পক্ষ ওয়েব- ‘সুবর্ণভূমির শৈলদেশের কথা তোমার অজানা নয়; সেদেশের পরাক্রমী রাজা চন্দ্রদমন আমাদের মিত্র। সম্প্রতি একটি বিষ্ণুমন্দির নির্মাণ করেছেন তিনি, সেই মন্দিরের বিগ্রহপ্রতিষ্ঠা হবে আর্যাবর্তের বেদজ্ঞ ব্রাহ্মণ দ্বারা, এই তাঁর ইচ্ছা। মহামতি ধুর্জটিদেব যাবেন সেই কার্যে স্থির হয়েছে সেকথা, তবে ধুর্জটিদেব একলা নন, সাথে তুমি যাবে রাজপ্রতিনিধি হয়ে, সম্রাটের তাই মত’।
‘আপনার এই আনুকুল্য আমার স্বপ্নের অতীত’, বিহ্বল শোনায় পুষ্পকেতুর কন্ঠস্বর, ভিজে ওঠে চোখের পাতা।
এবার ‘তৃতীয়পক্ষ’ ওয়েবে প্রথম প্রকাশিত হওয়া এই উপন্যাস ফিরছে এবার অন্যরূপে।তবে মঞ্চ না সিরিজ, কোথায় ফিরছেন উপন্যাসের মূল চরিত্র ‘পুষ্পকেতু’? সে বিষয়ে জানা যাবে আগামীতে।
রাজ-গোয়েন্দা পুষ্পকেতু। যিনি রূপে কন্দর্পকান্তি, চাতুর্যে চাণক্য! খুব শিগগিরিই তাঁকে দেখা যাবে মঞ্চ অথবা সিরিজে।
সম্রাট সমুদ্রগুপ্তর আমলের গোয়েন্দা ‘পুষ্পকেতু’র চরিত্রে খুব শিগগিরিই দেখা যাবে তাঁকে। মঞ্চে বা ওয়েব প্ল্যাটফর্মে!
বাংলায় নতুন গোয়েন্দার স্রষ্টা অনন্যা পাল। ভারতীয় ইতিহাসের প্রতি তাঁর প্রবল আকর্ষণ। ঐতিহাসিক উপন্যাস লিখতে তার খুব ভাল লাগে। সাহিত্যে একটু বৈচিত্র আনতে রাজার আমলের গোয়েন্দাদের কথা পাঠকদের সামনে তুলে ধরলেন তিনি। পাঠকেরা খুব খুশি। তবে শুধু দুই মলাটেই রাজ-গোয়েন্দা আটকে থাকবেন না। লেখিকা তাঁকে মঞ্চে, না হলে সিরিজে জীবন্ত করতে চলেছেন খুব শিগগিরিই। সম্প্রতি বইয়ের প্রচ্ছদ প্রকাশিত হয়েছে। যে বই আসতে চলেছে ‘আত্মজা পাবলিশার্সের’ হাত ধরে। যেখানে গোয়েন্দা ‘পুষ্পকেতু’ রূপে দেখা দিয়েছেন রোহন।
‘ব্যোমকেশ বক্সী’, ‘ফেলুদা’, ‘সোনাদা’, ‘শবর’-এর মতো ঝকঝকে গোয়েন্দায় অভ্যস্ত বাঙালীকুল। ‘পুষ্পকেতু’ কি পারবে পাল্লা দিতে? লেখিকা অনন্যার কথায়, ‘রাজ আমলেও অপরাধ হত ষড়রিপুর কারণে। এখনও হয়। তখনও গোয়েন্দাদের বুদ্ধি খাটাতে হত। এখনও তার কিছুমাত্র বদল ঘটেনি। যার ফলে, দর্শক পুষ্পকেতুকে মেনে নেবেন।’ এছাড়া, রাজ-গোয়েন্দার গুণ হলো, তিনি রূপে কন্দর্প, চাতুর্যে চাণক্য! এমন পুরুষ আকর্ষণীয় বটে। কীভাবে এড়াবেন একে? রোহনের মধ্যে তিনি পেয়েছেন এই দুটি গুণই। রোহনই হলেন তাঁর ‘পুষ্পকেতু’।
ছবি সৌজন্য- সোশ্যাল মিডিয়া