অভিমানে নতুন স্যোশাল মিডিয়া আনতে চলেছেন ট্রাম্প

তৃতীয়পক্ষ ওয়েব- হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন। নতুন এক সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম আনতে চলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যার নাম হবে ‘ট্রুথ স্যোশাল ট্রুথ’।

ট্রাম্প বলেছেন, বিগ টেক হিসেবে পরিচিত ‘বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর নিপীড়নের বিরুদ্ধে দাঁড়াবে’ তার  এই নতুন প্লাটফর্ম। হোয়াইট হাউসের দৌঁড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রাম্পের বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল। প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরও ট্রাম্পের কাছে স্যোশাল মিডিয়াই ছিল বেশ ভালো।

প্রসঙ্গত গত জানুয়ারি মাসে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটল হিলে দাঙ্গায় উস্কানিমূলক পোস্ট দেওয়ার কারণে ট্রাম্পকে নিষিদ্ধ করে টুইটার। অন্যদিকে ফেসবুক তার অ্যাকাউন্ট স্থগিত করে। সেইসময় ক্যাপিটল হিলের ওই ঘটনায় ট্রাম্প সমর্থকদের হামলায় ৫ জনের মৃত্যু হয়।

ট্রাম্পকে নিয়ে সমালোচনামূলক, অপমানজনক, মিথ্যা পোস্টের কারণে তার প্রেসিডেন্সির গোটা সময়জুড়েই স্যোশাল মিডিয়া কোম্পানিগুলো ট্রাম্পকে নিষিদ্ধ করার জন্য চাপের মুখে ছিল।এরপর ট্যুইটার এবং ফেসবুক ট্রাম্পের কিছু কিছু পোস্ট বিভ্রান্তিকর হিসাবে চিহ্নিত করে ডিলিট করতে শুরু করে। ২০২০-র শেষদিকে ট্রাম্প ‘কোভিড শুধু একটা জ্বর’ লেখা পোস্ট করার পর ফেসবুক সেটি ভুল তথ্য বলে সরিয়ে দেয়।

সেইসময় থেকে ট্রাম্প ও তার উপদেষ্টারা ইঙ্গিত দিয়ে এসেছেন যে, তারা প্রতিদ্বন্দ্বী একটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম তৈরির পরিকল্পনা করছেন। ‘ফ্রম দ্য ডেস্ক অব ডোনাল্ড জে ট্রাম্প’ নামে এক ধরনের ব্লগ চালু করেন এ বছর।

কিন্তু সেটিও চালু হওয়ার এক মাসের মধ্যে এই ব্লগ স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়। ট্রাম্পের সহযোগী জেসন মিলার বলেছেন, “আমরা বড় পরিসরে যা নিয়ে কাজ করেছি এবং করছি এটি ছিল তারই একটি অংশ।”

ট্রাম্প মিডিয়া এন্ড টেকনোলোজি গ্রুপ থেকে জানিয়েছেন, নতুন স্যোশাল মিডিয়া প্লাটফর্ম ‘ট্রুথ সোশ্যাল’ এর প্রাথমিক সংস্করণ আগামী মাস থেকে কেবলমাত্র আমন্ত্রিত অতিথিদের জন্যই চালু করা হবে। এরপর ২০২২ সালে প্রথম তিন মাসে এটি সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।

ট্রাম্প এই বিষয়ে লিখেছেন, “আমরা এমন এক বিশ্বে বসবাস করছি যেখানে টুইটারে তালিবানদেরও বহুল উপস্থিতি আছে, অথচ একজন মার্কিন প্রেসিডেন্টকে তারা চুপ করিয়ে দিয়েছে”।

 

শেয়ার করতে:

You cannot copy content of this page