শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে বড় ঘোষণা পর্ষদের, জারি করা হল বিজ্ঞপ্তি
তৃতীয়পক্ষ ওয়েবডেস্ক- কলকাতা হাইকোর্ট ডেকে পাঠিয়েছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সভাপতিকে। শিক্ষক নিয়োগের জটিলতার জেরেই এই তলব করা হয়েছে! এরই মধ্যে চাকরি প্রার্থীদের জন্য সুখবর শোনাল ওয়েস্ট বেঙ্গল বোর্ড অব প্রাইমারি এডুকেশন। ৪৬৭ জন টেট উত্তীর্ণকে স্ক্রুটিনি, তথ্য যাচাই ও ভাইভার জন্য ডেকে পাঠানো হইয়েছে। জারি করা হয়েছে নির্দেশিকাও।
অফলাইন আবেদনকে মান্যতা দিয়েই স্ক্রুটিনির জন্য ডেকে পাঠানো হয়েছে পরীক্ষার্থীদের। আগামী ২০ সেপ্টেম্বর ও ২১ সেপ্টেম্বর এই স্ক্রুটিনি, তথ্য যাচাই ও ভাইভা হবে। কলকাতা প্রাইমারি স্কুল কাউন্সিল, শিক্ষা ভবনে চলবে এই পর্ব।
মূলত ২০২১ সালের ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত অফলাইন আবেদনের ভিত্তিতেই এই নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এই মুহুর্তে ৪৬৭ জনই ২০১৪ সালে টেট পাশ করেছেন। আর প্রত্যেকেই প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। ২০২০ সালের ২৩ ডিসেম্বরের নিয়োগ সংক্রান্ত নোটিসের ভিত্তিতেই তাঁদের ডাকা হয়েছে।
চলতি বছরের শুরুতেই টেট সংক্রান্ত এক মামলার শুনানিতে কলকাতা হাইকোর্টের তরফে বলা হয়েছিল, বেশি বেশি পরীক্ষা নিতে। গত ২৩ ডিসেম্বর বিজ্ঞপ্তির ভিত্তি অনুসারে আগামী ৩১ জানুয়ারি পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। তার আগে হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল ২৯ জানুয়ারি অফলাইনে আবেদন করার সুযোগ পাবেন মামলাকারী টেট পরীক্ষার্থীরা।
এর পাশাপাশি ২০১৪ সালের প্রাথমিক টেট পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের ভুলের কারণে যে সকল চাকরিপ্রার্থী আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন, এবং পরবর্তীতে হাইকোর্টের নির্দেশে তাদের টেট উত্তীর্ণ ঘোষণা করা হয়, সেই উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের নতুন বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী সমস্ত নথি যাচাইয়ের জন্য সময় দেওয়া হয়।
কিছুদিন আগে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের প্রশ্নের মুখে পড়েন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষায় প্রশ্নপত্রে ভুল থাকার জন্য ২০১৮ সালে বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, ভুল প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন যারা তাদের পূর্ণাঙ্গ নম্বর দিতে হবে। কিন্তু পর্ষদ সেটি করেনি। যা আদালত অবমাননার শামিল বলেই মনে করে আদালত।
পাশাপাশি ১০ সেপ্টেম্বর মানিক ভট্টাচার্যকে কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দেয় আদালতে হাজির হওয়ার। ১০ তারিখ আদালতের নির্দেশের পরই নিয়োগপত্র হাতে পান মামলাকারী নীলোৎপল গুছাইত। মানিক ভট্টাচার্য বলেন, ‘এটি আমার দুর্ভাগ্য, যে আমাকে আদালতের সামনে হাজিরা দিতে হচ্ছে। মামলাকারীরা আমার সন্তানের মতো’। আর তারপরেই এই বিজ্ঞপ্তি টেট পরীক্ষার্থীদের মধ্যে আশার আলো ফুটিয়েছে।